‘আমরা আরও মনে করি বর্তমান সরকার প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা আইন আবারও একটি ভুল উদ্যোগ হতে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভিন্নমতাবলম্বী এবং সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে ডিএসএ।
২০১৮ সালে দায়ের করা সাইবার নিরাপত্তা আইনের একটি মামলার কারণে তাকে এই হয়রানি করা হয়।
এ আইন কুখ্যাতি পেয়েছিল ‘কালাকানুন’ হিসেবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন অবশ্যই বাতিল করা উচিত।
‘আন্দোলনের পক্ষে থাকার কারণে কেউ যদি বঞ্চিত হয়ে থাকেন, অবশ্যই তাদের প্রতি সুবিচার করা হবে এবং তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে।’
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা উত্তম কুমার দাশ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে এ মামলা করেন।
সোমবার ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (ডিএসএ) নাম পরিবর্তন, সংস্কার ও আধুনিকীকরণ করে এই 'সাইবার নিরাপত্তা আইন' করা হচ্ছে বলে এর আগে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন।
প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা ও তদারকি নিশ্চিত করা হয়নি, বিষয়টি আগের মতোই অবহেলিত রয়ে গেছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের পর থেকে এ পর্যন্ত যত মামলা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, সরকার বা ক্ষমতাবানরা অসন্তুষ্ট হয় বা বেজার হয়, এমন কোনো সংবাদ বা প্রতিক্রিয়া প্রতিরোধই এই আইনের...
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন সাইবার অপরাধ বন্ধে অত্যন্ত সহায়ক হবে। পাশাপাশি সাংবাদিকরা যেসব সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ছিলেন, সেটাও দূর হবে এবং সাংবাদিক হয়রানিও...
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ও ২৮ ধারা দুটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হয়রানির হাতিয়ার ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় ধারা দুটি বাতিলের...
বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রতিস্থাপন করে যে সাইবার নিরাপত্তা আইনের পরিকল্পনা করছে, তা আদতে আরেকটি নিবর্তনমূলক আইনই হতে যাচ্ছে। এটি জনগণের সাথে আরেকটি প্রতারণা ও বেইমানি...
‘আমরা আগেই বলেছি, সমালোচকদের গ্রেপ্তার, আটক ও মুখ বন্ধ রাখার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করা হয়েছে।’