চট্টগ্রামে সি প্লাস টিভি, সাংবাদিকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা

ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের অনলাইন টিভি 'সি প্লাস টিভি' ও এর এক সাংবাদিকসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকার বাসিন্দা উত্তম কুমার দাশ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনালে এ মামলা করেন।

শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে ট্রাইবুনালের বিচারক জহিরুল কবির তা তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) চট্টগ্রাম মেট্রো শাখাকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরুপ কান্তি নাথ।

মামলার অনান্য আসামিরা হলেন সেলিম মিয়া (৪০), জয় দাশ (২৭), আকিজুল হক আকিজ (৩০), পারভেজ মোশাররফ (২০), ইফতেখার নূর তিশান (৩০)। মামলায় সি প্লাস টিভির ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব পেজকেও আসামি করা হয়েছে। ইফতেখার নূর তিশান সি প্লাস টিভির সাংবাদিক।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করে জানান, তিনি পাহাড়তলী থানার দক্ষিন কাট্টলী এলাকার জমিদার প্রাণহরি দাশের বংশধর। তিনি সেখানে বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে জড়িত। সেলিম মিয়া জমির ব্রোকার এবং দীর্ঘদিন ধরে বাদী উত্তম কুমারকে তার জায়গা বিক্রি করতে চাপ দেন। এক পর্যায়ে সেলিম জায়গা কিনতে ব্যর্থ হয়ে উত্তমের বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে মানহানি করে আসছিল। গত ১৬ মে সি প্লাস টিভিতে "বিশ্বাস নয় দলিলই মূল কথা, বিশ্বাস করে টাকা দিয়ে পথে পথে ঘোরা এক ব্যবসায়ীর কাহিনী শুনুন" শিরোনামে ফেসবুক ও ইউটিউবে মিথ্যা তথ্য সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে উত্তমের জন্ম পরিচয়, বংশ পরিচয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বরুপ কান্তি নাথ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করে মানহানি করার অভিযোগে সাইবার আইনের ২৫, ২৬, ২৯, ৩১, এবং ৩৩ ধারায় মামলাটি গ্রহণ করেছেন আদালত।'

'মামলার আসামি সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলার অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। আগামী জুলাইয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে,' বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities and biasness during the national elections in 2014, 2018, and 2024.

12m ago