তিনি বলেন, সংস্কারের বিকল্প নেই, আবার অল্প বা বেশি সংস্কার বলেও কিছু নেই।
‘যে ভোটের জন্য এত রক্তপাত, যে ভোটের জন্য নেতাকর্মীদের এত ক্রসফায়ারে হত্যা, অনেক নেতাকর্মী অদৃশ্য হয়েছে কিন্তু সে ভোট আজও পেলাম না।’
জুলাই আন্দোলনের নজরুলের নাম অনিবার্যভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সংস্কারেও অনুপ্রেরণার বাতিঘর।
সম্প্রতি কি বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেছে যার কারণে আমাদের এই বিশ্বাস জোরদার হবে যে, আমরা গণতন্ত্রের পথে এগোচ্ছি?
অন্তর্বর্তী সরকার কি সংস্কার করেই নির্বাচনে যাবে? নাকি, নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে?
বিএনপির জন্য একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক, উদ্ভাবনী ভাবনাসম্পন্ন ও ভবিষ্যতমুখী দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এখনই উপযুক্ত সময়। তাদের হতে হবে জনআকাঙ্ক্ষা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের নতুন প্রত্যাশা ও একবিংশ শতকের...
‘আমরা আরও ভালো চাই, সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আরও ভালো চাওয়ার জন্য যাতে আমরা এত সময় না নেই, যাতে মানুষের যে পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা সেটি স্তিমিত হয়ে যায়। সংস্কার একটি সদা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া। এটি হতেই...
আজ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
‘আমি আমাদের জনগণকে আশ্বস্ত করেছি যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলে আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব অনুযায়ী আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব।’
তিনি বলেন, আসুন জনগণের সমস্যাগুলোর বিষয়ে আমরা চিন্তা করি, কথা বলি।
তিনি বলেন, এখনো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল না হওয়ায় এই মুহূর্তে নির্বাচন সম্ভব না।
‘বিএনপির যারা লড়াই-সংগ্রাম করেছিলেন তারা কিন্তু এখনো ঘরে ফিরে যাননি।’
তিনি বলেন, অনেকে যখন সংস্কারের ‘স’ এর ধারেকাছে ছিলেন না, তখন বিএনপি ৩১ দফা দিয়েছিল।
প্রথম ছয় মাসে নানা সমস্যার মোকাবিলায় ব্যস্ত ছিল অন্তর্বর্তী সরকার
‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির মধ্যে থেকে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী।’
এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৪ এবং ৪৫ ধারা সংশোধন করতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কার বাস্তবায়নে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই।
জনগণ চায় সংস্কারের এই সুবর্ণ সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়। তবে দেশের মানুষ বর্তমান পরিস্থিতির জটিলতা সম্পর্কেও সচেতন এবং তাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও আইনি পরিবেশ।
তিনি বলেন, ‘এর মানে হলো, যারা এখন একপর্যায়ে সংস্কারের পক্ষে তারা অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতার কারণে ভারসাম্যপূর্ণ সংস্কার থেকে সরে আসতে পারেন।’