আশা করি আমরা এই নির্বাচনে জিতব, কিন্তু এটাই শেষ নির্বাচন নয়: এএফপিকে নাহিদ

নাহিদ ইসলাম। ছবি: এএফপি

দেশের প্রচলতি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বড় পরিসরের সংস্কারের সদিচ্ছা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বার্তাসংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি আজ শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, 'তরুণ প্রজন্ম যেসব সংস্কারের জন্য জীবন দিয়েছে, তাদের (রাজনৈতিক দলগুলোর) সেগুলোর প্রতি কোনো আগ্রহই নেই।'

'গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের ওপরই। এ কারণেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি,' যোগ করেন তিনি।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে ৮০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। এরপর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া নাহিদ ইসলামও সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেন।

সম্প্রতি নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টিতে যোগ দিতে নাহিদ সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

নাহিদ বলেন, 'আগামী নির্বাচনের আমাদের দল সরকার গঠন করতে না পারলেও, আমরা এমন একটি রাজনৈতিক শক্তি তৈরি করছি, যা আগামী কয়েক দশক রাজনীতিতে সরব থাকবে।' 

'কেউ ভাবেনি গণঅভ্যুত্থান হবে, কিন্তু হয়েছে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আমার আশা ও বিশ্বাস, আমরা এ নির্বাচনে জিতব। কিন্তু এটাই শেষ  নির্বাচন নয়। আমাদের লক্ষ্য এই (রাজনৈতিক) শক্তিকে আরও ৫০-১০০ বছর টিকিয়ে রাখা।' 

'প্রায়ই আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, আমরা নাকি নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছি। কিন্তু এটা সত্য না,' বলেন তিনি।

তার মতে, শেখ হাসিনার পতনের পর এখনো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্থিতিশীল না হওয়ায় এই মুহূর্তে নির্বাচন সম্ভব না।

তিনি বলেন, 'আমরা অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক রীতিনীতির কিছু বাধ্যবাধকতা আছে।'

'তবে বৈচিত্র্যের ক্ষেত্রে জাতীয় নাগরিক পার্টি এখনো একটি প্রশংসনীয় অবস্থানে রয়েছে,' বলেন তিনি।

এনসিপি প্রধান বলেন, 'আমরা নারীদের সামনে এনেছি, সব জাতি-ধর্ম-সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করেছি। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করার চেষ্টা করব আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago