অন্তর্বর্তী সরকার আশা করছে—রেমিট্যান্স, রপ্তানি ও উন্নয়ন সহযোগীদের বাজেট সহায়তার কারণে ২০২৫-২৬ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ ৩৪ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার হবে।
এক সপ্তাহ আগে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক চার এক বিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের অগ্রগতি পর্যালোচনা শেষ করেছে।
আগের বছরের তুলনায় আগস্টে ৩৯ শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৮০ শতাংশ এবং অক্টোবরে ২১ শতাংশ বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পর পর আমদানি বিল পরিশোধ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, ‘প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বৃদ্ধির প্রভাবে রিজার্ভ বেড়েছে।’
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘তারা বেশ ইতিবাচক। এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।’
প্রতিনিধি দলটি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
সাধারণত আকুর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতি দুই মাস পরপর আমদানি বিল পরিশোধ করে এবং এই বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কিছুটা কমে যায়।
কিন্তু বছরব্যাপী দেশের প্রায় সব অর্থনৈতিক সূচক নিম্নমুখী ছিল। ফলে অর্থনীতি আশা অনুযায়ী ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
এছাড়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বিশ্বব্যাংক ও ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ আরও কিছু উৎস থেকে মোট প্রায় ৯০ কোটি ডলার এসেছে...
সংকোচনমূলক মুদ্রা ও রাজস্ব নীতি অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
দীর্ঘস্থায়ী অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাজেটে তিনটি চ্যালেঞ্জ আছে- মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ বৃদ্ধি, বাজস্ব আয় বাড়ানো।
অর্থনীতির এমন সংকটকালীন পরিস্থিতির ভেতর এই সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক?
মূলত উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে খরচ কমিয়ে কোনো রকমে মানিয়ে চলছেন দেশের মানুষ। বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যম আয়ের মানুষ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংকগুলো এলসি খুলতে প্রতি ডলারে ১২০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি বিলের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম ১১৮ টাকার বেশি।
গণতন্ত্রের ঘাটতি নেই, অর্থনৈতিক সংকট যুদ্ধজনিত কারণে।