পুনর্গঠিত পর্ষদ কার্যকরভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারায় সরকার শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যের ভিত্তিতে রপ্তানির এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
তবে আগের অর্থবছরের রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
তথ্য সংশোধনের পর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, এ সময়ে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪০ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার, যা ইপিবির দেওয়া তথ্যের চেয়ে ১০ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার বা ২১ শতাংশ কম।
অর্থ মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করতে হবে কেন ও কীভাবে বছরের পর বছর ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে এবং দেশব্যাপী এর প্রভাব কী ছিল।
তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত ও নীতিগুলো প্রমাণ-ভিত্তিক করতে চায় সরকার। এজন্য বিশ্ববাজারে বিক্রির রিয়েল-টাইম তথ্য প্রকাশে একটি প্ল্যাটফর্ম চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলে প্রকৃত রপ্তানি ইপিবির দেওয়া তথ্যের চেয়ে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার কম ছিল।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক গরমিল সমন্বয়ের পর রপ্তানি ১৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার কমে ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
হঠাৎ এই তথ্যগত পরিবর্তনের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না অর্থনীতিবিদরা। অন্যদিকে কর্তৃপক্ষও প্রায় নীরব, তাই উত্তরের চেয়ে এখন যেন প্রশ্নই বেশি!
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৪.৩১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৩১ দশমিক ৬৪ মিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্টে তুলাবর্জ্য রপ্তানি ৭৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেড়েছে। এ থেকে আয় হয়েছে ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
গত বছরের আগস্টে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি তার আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেড়েছিল, যা এবার হয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ কমে ৫৪৮ দশমিক ১০ মিলিয়ন ডলার হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে। কারণ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হিসেবে ভারত থেকে কিছু সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ।
গত অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬৭৭ মিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে, যা গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুসারে, সারাবিশ্বে হ্যাট-ক্যাপের অন্যতম প্রধান সরবরাহকারী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন ও ফ্রান্স বাংলাদেশ থেকে ২৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য কিনেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে দুই চাকার এই বাহন রপ্তানি করে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১৪২.২৪ মিলিয়ন ডলার।