কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মনিটরিং স্টেশন জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৪০ মিলিমিটার (নয় দশমিক চার ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা ২০০২ সালের পর সর্বোচ্চ বর্ষণের রেকর্ড।
এ সপ্তাহে বন্যার প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দুর্যোগ কর্মকর্তারা।
খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
‘আজ একেবারে বৃষ্টি হবে না—তেমন নয়, থেমে থেমে বৃষ্টি হবে।’
কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিপাতের জেরে মঙ্গলবার ভোরে ওয়েনাড জেলার মুনডাক্কাই, চুরালমালা, আত্মামালা ও নুলপুঝা গ্রামে ভূমিধস আঘাত হানে। এতে ধ্বংস হয়েছে অন্তত ৩০০ বাড়ি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি কেরালা সরকারকে ‘সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা’ দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
দুর্গত এলাকার একটি সেতু ধসে পড়ায় উদ্ধার কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
দেশের ১৫ জেলার নদী বন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ও সেনাসদস্যসহ মোট ১৮০ জন উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
‘এই ঘূর্ণিঝড়ে সাতক্ষীরা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত পুরো এলাকা কম-বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাত থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
রাত ৩টার সময় যখন ভূমিধস শুরু হয়, তখন গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দা ঘুমে ছিলেন।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হতাহতের সংখ্যা ন্যুনতম রাখার জন্য খোঁজ ও উদ্ধার কার্যক্রমের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বর্ষা মৌসুম শুরুর পর থেকে শিমলায় গত ৫৫ দিনে ১১৩টি ভূমিধস হয়েছে। যার ফলে দেশটির গণপূর্ত বিভাগ ২ হাজার ৪৯১ কোটি রুপি ও জাতীয় মহাসড়ক কতৃপক্ষ ১ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির শিকার হয়েছে।
আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সোলান জেলায় আকস্মিক ভারী বর্ষণে ৭ জন ও শিমলার সামার হিল এলাকার শিব মন্দিরে ভূমিধসে ৯ জন মারা গেছেন।
নিখোঁজ ২ জন
ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
প্রায় ৪ দিন ধরে মাটি ও ভেঙে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচ থেকে মরদেহ খুঁড়ে বের করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
এই পাহাড়ি রাজ্যে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের কারণে রোববার সন্ধ্যায় বন্যা ও ভূমিধস দেখা দেয়।