ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে মৃত ১৮, নিখোঁজ অনেকে

ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে আহতদের সরিয়ে নিচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি
ইন্দোনেশিয়ার ভূমিধসে আহতদের সরিয়ে নিচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ছবি: এএফপি

ইন্দোনেশিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত থেকে ভূমিধসের সূত্রপাত হলে অন্তত ১৮ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। নিখোঁজ আছেন আরও ৯ জন।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ঘন কাদা ও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। আজ বুধবার সকালেও উদ্ধার কার্যক্রম চলছিল।

কেন্দ্রীয় জাভা প্রদেশের পেকালোঙ্গান শহরের কাছে অবস্থিত একটি পার্বত্য এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সোমবার ভূমিধস দেখা দেয়। এতে কয়েকটি সেতু বিধ্বস্ত হলে ধ্বংসস্তুপের নিচে বাড়ি ও গাড়ি চাপা পড়ে।

উদ্ধার সংস্থা বাসারনাস বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, মঙ্গলবারের পর মৃতের সংখ্যা আর বাড়েনি।

নয়জন এখনো নিখোঁজ আছেন। আহত হয়েছেন ১৩ জন।

তবে স্থানীয় কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ইউলিয়ান আকবর এএফপিকে জানান, আজ অপর এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। যার ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৮ হয়েছে। 

আকবর আরও জানান, 'উদ্ধারকারী দলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সহায়তা করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি মোতায়েন করা হয়েছে।

তিনি জানান, নিখোঁজদের উদ্ধারে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে এবং স্থানীয় সরকার দুই সপ্তাহের জন্য জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে।

ভূমিধসের ফলে কাসিমপার গ্রামের একটি কফির দোকানে বেশ কয়েকজন মানুষ মারা গেছেন। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে তারা সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় উদ্ধার কাজে বাধার সৃষ্টি হয়।

আগামী তিন দিন মধ্যম মাত্রার বৃষ্টি অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।

যার ফলে 'আরও বন্যা, আকস্মিক বন্যা ও ভুমিধস' হতে পারে বলে হুশিয়ার দেন জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) মুখপাত্র আবদুল মুহিয়ারি।

নভেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে ইন্দোনেশিয়ার বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।

গত নভেম্বরে ভূমিধস ও বন্যায় ২৭ জন নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

15h ago