কেরালায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭

কেরালার ওয়েনাডে ভূমিধস পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: এএফপি
কেরালার ওয়েনাডে ভূমিধস পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: এএফপি

ভারতের কেরালায় ভারি বৃষ্টিপাত থেকে সৃষ্টি ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হয়েছে। আরও হাজারো মানুষ কাদা ও ভাঙা পাথরের নিচে চাপা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ বুধবার বিকেলে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া এই তথ্য জানিয়েছে। 

ওয়েনাড জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু ভেঙে পড়ায় উদ্ধার কার্যক্রমে বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। 

জেলা কর্মকর্তা ডি আর মেঘশ্রী সাংবাদিকদের ৪৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি আরও জানান, ১১৬ জন আহত ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

এর আগে কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিনা জর্জ প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে বলেন, আরও 'অনেকেই' আহত হয়েছেন এবং তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর প্রকাশ করা ছবিতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা কাদার ভেতর থেকে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং স্ট্রেচারে করে মরদেহগুলো সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।

ভূমিধসের দমকে কাদা ছড়িয়ে ওয়েনাডের বাড়িঘরের রঙ বদলে গেছে। অসংখ্য ঘাড়ি চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং দুর্গত এলাকায় লোহা ও অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

ভারতের সেনাবাহিনীর ২০০ সেনা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করছে।

কেরালার ওয়েনাডে ভূমিধসের পর উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা। ছবি: এএফপি
কেরালার ওয়েনাডে ভূমিধসের পর উদ্ধারকর্মীদের তৎপরতা। ছবি: এএফপি

সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'হাজারো মানুষ আটকে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।'

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, তিনি কেরালা সরকারকে 'সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা' দেওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।

এক্সে পোস্ট করে মোদি বলেন, 'যারা তাদের নিকটজনদের হারিয়েছে, তাদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি ও মৃতদের জন্য প্রার্থনা করছি।'

মোদির কার্যালয় থেকে জানানো হয়, ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ পাবেন।

কিছুদিন আগেও ওয়েনাডের প্রতিনিধি ছিলেন বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি এই দুর্ঘটনায় 'গভীর হতাশা' প্রকাশ করেছেন।

 'আমি আশা করব আটকা পড়াদের দ্রুত উদ্ধার করা হবে', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties agree on enacting new law for presidential clemency

However, there was no consensus on the suggestion to form a six-member board to execute the clemency process

45m ago