বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫টি এনবিএফআইয়ের মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ৩৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
সুশাসন, ভালো গ্রাহক বেছে নেওয়া ও যথাযথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে বলে মত দিয়েছেন ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
ব্যাংকগুলো হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি হলো আভিভা ফাইন্যান্স। ইসলামী ব্যাংকের পাশাপাশি...
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতির জন্য মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক দায়ী। কারণ তারা কঠোরভাবে তদারকি করেনি।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মুখপাত্র রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এই রাজস্ব কর্মকর্তার বিও হিসাব বন্ধ করেছে।
এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ১৭ শতাংশ আমানত হিসাব কমেছে।
নতুন আমানত ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নতুন সুদের হার প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দুর্বল ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও (এনবিএফআই) একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের ১২ টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে।
নতুন আমানত ও ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নতুন সুদের হার প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
দুর্বল ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও (এনবিএফআই) একীভূতকরণ ও অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের ১২ টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) নিয়মিত ব্যবস্থাপনা পরিচালক অথবা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ৩৫টি এনবিএফআইয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, যা একই বছরের জুনের চেয়ে ৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
ডিসেম্বরের মধ্যে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (এনবিএফআই) খেলাপি ঋণ কমাতে এবং মূলধন ঘাটতি মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে এ খাতে খেলাপির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট ঋণের ২৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের মূল আকর্ষণ থাকে কারসাজির প্রতি। তবে, ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার সংখ্যা বেশি হওয়ায় কারসাজির সুযোগ তেমন নেই। তাই এসব শেয়ার কিনতে চান না তারা।
বাংলাদেশের ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজার সব ক্ষেত্রেই মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সুশাসনের অভাব ও অনিয়ম করে পার পেয়ে যাওয়ার কারণেই আর্থিক খাতে আস্থার সংকট তৈরি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে দেশে ৩৫টি ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৬টির খেলাপি ঋণের অনুপাত ৩০ শতাংশের বেশি।
চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে কমেছে।