বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেন লালমনিরহাটের মোগলহাট সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।
শনিবার ভোরে বিএসএফ তাদের পুশইন করে।
‘কোনো অবস্থাতেই সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার, মাদক চোরাচালান কিংবা পুশ ইন ঘটতে দেওয়া হবে না।’
আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে পতাকা বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার সোনাইপুল এলাকায় নদীর তীর থেকে গত ২২ মে উমেদ আলী (৪৭), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪১) ও তাদের তিন মেয়েকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
তাদের মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ, ৫৩ জন নারী ও ৫১ জন শিশু বলে জানা গেছে।
নাজিরগোমানী বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার হাছিবুর রহমান জানান, শনিবার দিবাগত রাত (রবিবার) ১টার দিকে জগতবেড় ইউনিয়নের ৮৬৮ নম্বর মেইন পিলারের ৩-এস সাব পিলারের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
‘পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’
টহল দেওয়ার সময় বজ্রবৃষ্টি শুরু হয়। সীমান্তের আশপাশে কোনো বাড়িঘর না থাকায় নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানোর আগেই তারা বজ্রপাতের শিকার হন। ঘটনাস্থলেই মারা যান একজন।
আজ দুপুরে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিজিবি জানায়, আগামীকাল বুধবারের মধ্যে বিএসএফ সিসিটিভি ক্যামেরাটি অপসারণ করবে।
স্থানীয়রা বিষয়টি বিজিবিকে জানালে বিজিবি বিএসএফকে ডেকে এর প্রতিবাদ জানায় এবং সিসি ক্যামেরা অপসারণ করতে বলে। এ বিষয়ে বিএসএফকে লিখিতভাবে চিঠিও দিয়েছে বিজিবি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে সীমান্ত হত্যা, অবৈধ অনুপ্রবেশ, চোরাচালান, মানব পাচার এবং পানিবণ্টনের মতো বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে উত্থাপন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে যে বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মনে করছি যে, আমরা বঞ্চিত হয়েছি সে বিষয়গুলোতে আমরা কোনো ছাড় দেব না।’
চান্দেরহাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মনির উদ্দিন বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর সীমান্তের শূন্যরেখায় বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকে তাদের...
বিজিবি জানায়, সীমান্তবর্তী দীপনগর গ্রামের ওই কৃষক সকালে জমিতে যাওয়ার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে আটক করে।
আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে জয়পুরহাট সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রাণঘাতী অস্ত্র বিজিবির কাছে আছে। কিন্তু যেগুলো নেই যেমন– টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড এগুলো কেনার জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছি।'
'আমরা অন্যান্য দিনের মতোই নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং বিএসএফও তাদের নিয়মিত টহল দায়িত্ব পালন করছে।'