বৈরী আবহাওয়া কাটার পর গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যায়।
ধারদেনা করে কোনোমতে ঈদের আমেজ ধরে রাখার চেষ্টা করছেন তারা।
গত ১ মার্চ সন্ধ্যায় টেকনাফের নাফ নদী থেকে পাঁচ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে যায় আরাকান আর্মি। ২৫ মার্চ তাদের হাতে আটক হন আরেক জেলে।
এর আগে, আরও ১২ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করেছিল ভারতের কোস্টগার্ড।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় মামলা প্রত্যাহার করায় আদালতের নির্দেশে আজ দুপুরে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।
দুই মাসের বেশি সময় সাগরে মাছ ধরা বন্ধের ঘোষণায় উপকূলের জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
‘নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়ে আসায় আমরা এখন মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
সরকারি খাদ্যসহায়তার চাল বুঝে পাননি পটুয়াখালী জেলার নিবন্ধিত প্রায় ২০ হাজার জেলে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়।
সেন্টমার্টিনের পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গনি আপাদমস্তক একজন মৎস্যজীবী। মাছ ধরার সৌভাগ্য যেন তার পিছু ছাড়ছে না। আবার তার জালে ধরা পড়েছে প্রায় ২৪ কেজির একটি কালো পোপা মাছ।
প্রায় আড়াই মাস আগে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ভারতে আটকে পড়েন ৪০ জেলে। তাদের মধ্যে ৩৩ জনের বাড়ি বরগুনা সদর ও পাথরঘাটা উপজেলায় এবং অপর ৭ জনের বাড়ি পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায়।
আগামীকাল শনিবার শেষ হচ্ছে ইলিশ ধরার ওপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। রোববার ভোর থেকেই আবার ইলিশ ধরতে পারবেন জেলেরা। তাই শুরু হয়েছে ইলিশ আহরণের প্রস্তুতি।
চাঁদপুরে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ১৩ দিনে ৪ হাজার ২২৬ কেজি মা ইলিশসহ ৭৯৫ জেলেকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।
নিষেধাজ্ঞাকালীন চাঁদপুরে ইলিশ মাছ ধরতে যাওয়ায় ৩৫ জেলেকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কাছ থেকে ৫০ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও ৯৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশ ধরায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ১০ জেলের ৮ জনকে ১৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। ২ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ১১ জেলে প্রায় ২ মাস ধরে ভারতে আটকে আছেন। তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ওই জেলের স্বজনরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন ৬৮ বছর বয়সী জালকু চন্দ্র দাস। ৮ বছর বয়স থেকে তিনি তার বাবা শিয়ালু চন্দ্র দাসের সঙ্গে মাছ ধরা শুরু করেন।
১২ জনের একটি দল। একসময় তারা ট্রলারে করে গভীর সমুদ্রে মাছের খোঁজে বের হতেন। জাল ফেলে ধরতেন ইলিশসহ নানা জাতের মাছ। এখনো তারা ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে যান, তবে মাছ ধরতে নয়, অন্যের মাছ লুট করতে। একসময়...
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে ভারতে উদ্ধার হওয়া এক জেলে মারা গেছেন। ভারতীয় জেলেদের হাতে উদ্ধার হওয়ার আগে চার দিন সাগরে ভেসে ছিলেন তিনি।