মুদ্রানীতি কড়াকড়ি ও আমদানি কমিয়েও যখন মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হয় না, তখন সাধারণ মানুষের জন্য এই লড়াই আরও কঠিন হয়ে ওঠে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংকলিত তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে রিফাইনারদের অপরিশোধিত চিনি আমদানির পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টন, যা আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।
পাশাপাশি বন্ড সুবিধায় আনা সুগার রিফাইনারি থাকা সব ধরনের অপরিশোধিত চিনি বাজারজাতকরণ ও সরবরাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বন্ড কর্মকর্তাদের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের তথ্য অনুসারে, মেঘনা গ্রুপ সাড়ে ৪০ শতাংশ ও সিটি গ্রুপ সাড়ে ২৮ শতাংশ অপরিশোধিত চিনি আমদানি করছে।
আটক করা হয়েছে ২৩ জনকে
পবিত্র রমজানে চিনির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতিবেশী দেশ থেকে চোরাই পথে আসা চিনি বিক্রি করছেন।
সরকার ৭৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ৮ হাজার টন মসুর ডাল এবং ১৬০ কোটি টাকার ১০ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘যে যার খুশিমতো দাম বাড়াচ্ছে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ১৪ হাজার ৫০০ কেজি ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চিনির একটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।
চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। এছাড়া পাম তেলের (সুপার) দাম লিটারে ৮ টাকা কমানো হয়েছে।
বাজারে অন্যান্য নিত্যপণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে চিনির দাম। প্রতি কেজি লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা ও সাদা চিনি ৮৫ টাকা দরে। কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি চিনির দাম প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে।
তেল, চাল ও গমের পর এবার চিনি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় বাজারে এর দাম বাড়তে শুরু করেছে। চিনির দাম খুচরা পর্যায়ে কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা ও পাইকারি পর্যায়ে মণ প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
দেশের বাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ভারত চিনি রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা করছে। গত ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারত এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।