জুনের শুরুতে চিনি রপ্তানি সীমিতের ঘোষণা দিতে পারে ভারত
দেশের বাজারে মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ভারত চিনি রপ্তানি সীমিত করার পরিকল্পনা করছে। গত ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ভারত এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।
ভারত সরকার ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ভারত ৮ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি রপ্তানি করবে না।
আগামী মাসের শুরুর দিকে এ বিষয়ে একটি ঘোষণা আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির এক সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, 'দেশে চিনি উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ হলেও, রপ্তানির কারণে মজুদ দ্রুত কমে আসছে। অনিয়ন্ত্রিত রপ্তানি দেশের বাজারে ঘাটতি তৈরি করতে পারে এবং এতে দাম বেড়ে যেতে পারে।'
দুটি সূত্র জানিয়েছে যে ভারত সরকার ৮ মিলিয়ন টনের বেশি চিনি রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরিকল্পনা করছে।
এক কর্মকর্তা জানান, দেশের বাইরে চিনি বিক্রি নিরুৎসাহিত করতে সরকার রপ্তানির ওপর শুল্ক বাড়ানোর বিষয়টিও ভাবছে।
তবে এ বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
২০১৬ সালে ভারত চিনি রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি।
কিন্তু গত ২ বছরে ১৪ মিলিয়ন টনেরও বেশি রপ্তানির পর দেশটির সরকার অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্থানীয় চাহিদা মেটাতে চিনি উৎপাদনের ওপর নজর দিয়েছে।
সরকারি নীতিনির্ধারণীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, 'সরকারের নীতি পরিষ্কার। স্থানীয় চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত চিনি উৎপাদন করতে হবে। বিশ্ববাজারে অস্থিরতার ওপর রপ্তানি নির্ভর করবে না।'
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেল এবং খাদ্যশস্যের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার স্বাভাবিকভাবেই খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অতীতে রেকর্ড পরিমাণে রপ্তানি করার পরে সরকার উচ্চ মূল্যে চিনি আমদানি করতে বিব্রত বোধ করছে বলে জানান তিনি।
Comments