বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩৫টি এনবিএফআইয়ের মন্দ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ হাজার ১৬৩ কোটি ১৯ লাখ টাকা, যা তাদের বিতরণ করা ঋণের ৩৫ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এসব ঋণ চট্টগ্রামে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৪টি শাখা থেকে অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে।
সুশাসন, ভালো গ্রাহক বেছে নেওয়া ও যথাযথ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার কারণে এসব প্রতিষ্ঠান খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে বলে মত দিয়েছেন ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে—গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৪ দশমিক আট শতাংশ বা ৭৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।
এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ মোট বিতরণ করা ঋণের প্রায় ১৭ শতাংশ।
‘কোনো রাজনৈতিক দল ব্যবসায়ীদের সংসদ সদস্য বানালে তারা নিজেদের স্বার্থে আইন করবেন। দেশের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে না।’
২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা মোট ঋণের প্রায় ৩২ শতাংশই দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ। এ পরিসংখ্যান এক বছর আগের চেয়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বা ২৬ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত হয়।
এই পরিসংখ্যান গত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ব্যাপক কেলেঙ্কারি ও অনিয়মের শিকার হওয়া ব্যাংক সেক্টরের নাজুক অবস্থাকে তুলে ধরেছে।
২০২০ সালে সরকার ব্যাংকগুলোকে খেলাপি ঋণ সমস্যা সমাধানে সহায়তার অংশ হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ কেনা ও লেনদেনের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত কর্পোরেশন গঠনের ধারণার কথা জানিয়েছিল।
গত বছর শেষে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত খেলাপি ঋণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।
সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে সংবাদ সম্মেলন ছেড়ে চলে যান খলিলুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে তার মিটিং আছে বলে জানান।
২০২৩ সালে ন্যাশনাল ব্যাংকের লোকসান হয়েছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা।
রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংককে ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অ্যাননটেক্স গ্রুপকে এই সুবিধা দিয়েছিল জনতা ব্যাংক।
ঋণ প্রদানে অনিয়ম, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার শিথিলতার কারণে ব্যাংকিং খাত বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণের ভারে জর্জরিত।
দুই বছর ধরে খেলাপি ও লোকসানে থাকা ঋণ এখন ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিট থেকে মওকুফের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগে এই সময় সীমা ছিল তিন বছর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা
গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ৩৫টি এনবিএফআইয়ের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা, যা একই বছরের জুনের চেয়ে ৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।
সিপিডি বলছে, খেলাপি ঋণ (এনপিএল) এখনো অনিয়ন্ত্রিত। এটি আর্থিক খাতের জন্য হুমকি। সুশাসন ও সংস্কারের অভাবে দেশের ব্যাংকিং খাত ধারাবাহিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে।