‘আমরা কিন্তু জানি কীভাবে ২৬০ করতে হয়’
ঘরের মাঠে মন্থর ও উঁচু-নিচু বাউন্সের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত বাংলাদেশ দল। সেখানে বেশিরভাগ সময় সাহায্য পান বোলাররাই। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে খেলতে এলেই মেলে না হিসাব। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে খেলার ভাষা বুঝতে পারেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এই অনভ্যস্ততা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
শনিবার পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল রানে ভরপুর। এমন পাটা পিচে আগে ব্যাটিং পেয়ে বাংলাদেশ করে ৩০৬ রান। ওই পুঁজি ৩২ বল আগে পেরিয়ে যেতে কোনো সমস্যা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। উইকেটে যেভাবে ব্যাটে বল এসেছে, আউটফিল্ডে বল যেভাবে ছুটেছে, তাতে মনে হয়েছে, বাংলাদেশ অন্তত ৫০-৬০ রান কম করেছে।
বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব সামলানো শান্তও স্বীকার করছেন এই বাস্তবতা। এর পেছনের কারণ হিসেবে নিজেদের ২৬০ রানের উইকেটে খেলার অভ্যস্ততাকে দায়ী করেছেন তিনি, 'দেখেন, এরকম বোলিংয়ের বিপক্ষে আমরা তিনশ করেছি। যদি রান আউট দুটো না হতো বা মাঝখানে যদি আরেকটা বড় জুটি হতো, তবে ওখান থেকে সাড়ে তিনশই করতাম। তবে এটাও সত্য, আমরা যত ভালো উইকেটে খেলব... ওই অভ্যাসটা দরকার। আমরা কিন্তু জানি কীভাবে ২৬০ করতে হয়। কীভাবে আমরা তিনশ করতে পারি, এই অভ্যাসটা তৈরি হলে দেখা যাবে আমরা নিয়মিত ৩৩০-৩৫০ করতে পারছি।'
বড় কোনো আসরের আগে হলেও ঘরের মাঠে ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে খেলার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন শান্ত। এই নিয়ে আলাপ হওয়াও প্রয়োজন মনে করছেন তিনি। তার আশা, বিসিবি বিষয়টি এই বিশ্বকাপের পর আরও বেশি করে উপলব্ধি করবে, 'অবশ্যই (আলাপ করা উচিত)। সবাই তো দেখলাম আমরা কী অবস্থায় আছি। আমরা যত খারাপ ব্যাট করেছি, অত খারাপ দল কিন্তু না। প্রস্তুতি ঠিক ছিল, ফল আসেনি। এটাই আশা করব, আমরা যখন হোয়াইট বল ফরম্যাট খেলার চেষ্টা করব ওয়ানডে হোক বা টি-টোয়েন্টি হোক, প্রত্যেকটা উইকেটই যেন ভালো হয় এবং স্পোর্টিং হয়। সেক্ষেত্রে বোলাররাও বুঝতে পারবে যে ভালো উইকেটে কীভাবে আমি তিনশ রান ডিফেন্ড করতে পারব। আমি আশা করি, ক্রিকেট বোর্ড অবশ্যই এ নিয়ে চিন্তা করেছে। তেমন উইকেটই (সামনে) দেওয়া হবে আশা করছি।'
Comments