ইরানকে অবশ্যই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে, না হলে আরও বড় হামলা: ট্রাম্প

হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানকে এখন শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদি তারা না করে তাহলে, ভবিষ্যতে আরও বড় হামলার মুখোমুখি হতে হবে।

তিনি বলেন, 'হয় সেখানে শান্তি আসবে অথবা ইরানের জন্য ট্রাজেডি নেমে আসবে, গত আট দিন ধরে যা দেখেছি, তার চেয়ে অনেক বেশি।'

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব বলেন তিনি।

'মনে রাখতে হবে, এখনো অনেক টার্গেট বাকি আছে। আজকের রাতটি এখন পর্যন্ত তাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন এবং সম্ভবত সবচেয়ে প্রাণঘাতী ছিল। কিন্তু দ্রুত শান্তি না এলে আমরা নিখুঁত, গতি ও দক্ষতার সঙ্গে অন্য লক্ষ্যগুলোতে হামলা করব,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'আজ রাতে আমি বিশ্বকে জানাতে পারি, এই হামলা একটি দারুণ সামরিক সাফল্য ছিল। ইরানের প্রধান পরমাণু সমৃদ্ধকরণ স্থাপনাগুলো সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে।

'৪০ বছর ধরে ইরান বলে আসছে, আমেরিকার মৃত্যু হোক, ইসরায়েলের মৃত্যু হোক। তারা আমাদের লোকজনকে হত্যা করছে, তাদের হাত উড়িয়ে দিচ্ছে, রাস্তার পাশে রাখা বোমা দিয়ে তাদের পা উড়িয়ে দিচ্ছে। এটাই ছিল তাদের বিশেষত্ব। আমরা এক হাজারেরও বেশি মানুষকে হারিয়েছি এবং মধ্যপ্রাচ্য ও সারা বিশ্বে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। এত লোক তাদের জেনারেল কাসেম সোলাইমানির হাতে নিহত হয়েছে।'

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আমি অনেক আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এটা হতে দেব না। এটা অব্যাহত থাকবে না। আমি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে চাই। আমরা এমন একটি দল হিসেবে কাজ করেছি, যা সম্ভবত এর আগে কেউ করেনি। ইসরায়েলের প্রতি এই ভয়াবহ হুমকি শেষ করতে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।'

তার ভাষ্য, 'আমি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে তাদের চমৎকার কাজের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমেরিকান দেশপ্রেমিকদের অভিনন্দন জানাতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক বাহিনীকে এমন একটি অভিযানের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই, যা বিশ্ব বহু দশকে দেখেনি।'

Comments

The Daily Star  | English
US airstrike on Iran

Strikes on Iran mark Trump's biggest, and riskiest, foreign policy gamble

The dramatic US strike, including the targeting of Iran’s most heavily fortified nuclear installation deep underground, marks the biggest foreign policy gamble of Trump’s two presidencies and one fraught with risks and unknowns.

1h ago