প্রথম ইনিংসেই শেষ পাকিস্তানের স্বপ্ন
বেশ জটিল সমীকরণে টিকে ছিল পাকিস্তানের সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন ভেঙে যায় টস অনুষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই। কারণ সেমি-ফাইনালের এই জটিল সমীকরণ মেলানোর জন্য আগে ব্যাট করার কোনো বিকল্প ছিল না তাদের। পরে ব্যাট করে সেমির লড়াইয়ে থাকা কার্যত অসম্ভবই ছিল দলটির জন্য। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে সেটাই করে দেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
শনিবার কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সের আইসিসি বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রান করেছে ইংল্যান্ড। সেমি-ফাইনালে যেতে হলে এই রান তাড়া করে জিততে হবে ৬.৪ ওভারের মধ্যেই। যা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যদি না ইংলিশরা একের পর এক ওয়াইড ও নো-বল দেয়।
তবে খুব অল্প রানে ইংলিশদের আটকে দিলে কিছু আশা ছিল পাকিস্তানের। তাও শুরুতেই কঠিন করে দেন দুই ওপেনার ডেভিড মালান ও জনি বেয়ারস্টো। তাদের ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮২ রান। এরপর এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলে জো রুটের সঙ্গে বেন স্টোকসের ১৩২ রানের জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় দলটি। আর সেই ভিতে ইমারত গড়েন বাকি ব্যাটাররা।
আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি তুলে ছন্দে ফেরা বেন স্টোকস এদিন তিন অঙ্ক ছোঁয়ার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে পঞ্চাশোর্ধ্ব রান করেন বিশ্বকাপের আগে অবসর থেকে ফেরা এই ক্রিকেটার। বড্ড দেরি করে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। যদিও শুরুতে খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে।
দারুণ ব্যাটিং করেন রুটও। ৭২ বলে খেলেন ৬০ রানের ইনিংস। আর ৬১ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৯ রান করেন বেয়ারস্টো। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও খেলেন হ্যারি ব্রুক। পাকিস্তানের পক্ষে ৬৪ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন আফ্রিদি ও ওয়াসিম জুনিয়রও।
ইংলিশদের বিশাল পুঁজিতে নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল। শেষ চারে তারা খেলবে ভারতের বিপক্ষে। নয় ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট। রানরেট ০.৭৪৩। অন্যদিকে আগের আট ম্যাচে আট পয়েন্ট পাওয়া পাকিস্তানের রানরেট ০.০৩৬। তাই জয়ের সঙ্গে রানরেট মেলানোর সমীকরণ ছিল তাদের সামনে।
Comments