আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

জঘন্য খেলেছি: সরল স্বীকারোক্তি স্টোকসের

নিজেদের এমন বাজে পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ স্টোকস।

জঘন্য খেলেছি: সরল স্বীকারোক্তি স্টোকসের

বেশ অনুরোধ করেই এবার বিশ্বকাপের আগে অবসর থেকে ফেরানো হয়েছিল বেন স্টোকসকে। কিন্তু যে প্রত্যাশায় তাকে ফেরানো হয় তার ছিটেফোঁটাও মেটাতে পারেননি তিনি। তার সঙ্গে তার দলও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। কোনো ক্রিকেটারই পারছেন না জ্বলে উঠতে। আর নিজেদের এমন বাজে পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ স্টোকস।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়া তাদের জন্য এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এখন পর্যন্ত কেবল একটি জয় পেয়েছেন তারা। তাও কেবল অপেক্ষাকৃত দুর্বল বাংলাদেশের বিপক্ষে। হেরেছে আফগানিস্তানের মতো দলের বিপক্ষেও। কোনো ম্যাচেই সে অর্থে লড়াই করতে পারেনি দলটি। অথচ আসরের অন্যতম ফেভারিট ছিলেন তারা। 

নিজেদের এমন পারফরম্যান্সে নিয়ে স্টোকস বলেন, 'এই বিশ্বকাপটা আমাদের কাছে একটা বিপর্যয়ের‌ সমান। সুগারের আস্তরণ দিয়ে একে মিষ্টি করা যাবে না। সত্যিকে কখনো ঢেকে রাখা যাবে না। বাকি ম্যাচগুলো আমরা খেলব নিজেদের সম্মান রক্ষার করার জন্য। আমার মনে হয় সমস্যাটা হল আমরা খুবই বাজে খেলেছি। জঘন্য ছিলাম বিশ্বকাপ জুড়ে। যা যা চেষ্টা করেছি কোনটাই কাজে আসেনি।'

'আমরা জানি প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছি, ভিন্ন উপায়ে চাপ কাটানোর চেষ্টা করেছি। আগে যেগুলোতে সফল হয়েছি, এই বিশ্বকাপে তা কাজ করেনি। যখনই এমন সুযোগ এসেছে যে আমাদের মনে হয়েছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারব, তা আমরা করতে পারিনি। ব্যক্তিগত এবং দলগতভাবে বিশ্বকাপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যে রকম ভালো খেলার কথা, তার ধারেকাছেও ছিলাম না আমরা। এটা হতাশাজনক। আমরা জানি, মাঠে যা খেলেছি, আমরা তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি ভালো খেলার যোগ্যতা রাখি,' যোগ করেন স্টোকস।

এবার বিশ্বকাপে অবশ্য শতভাগ ফিট হয়ে যেতে পারেননি স্টোকস। চোটের কারণে শুরুর দুই ম্যাচ খেলতে পারেননি। এরপর ফিরলেও চোটের কারণে বোলিং তো করতেই পারছেন না, ব্যাট হাতেও সম্পূর্ণ ব্যর্থ। দীর্ঘদিন ধরে ভোগা হাঁটুর চোট স্পষ্ট প্রভাব ফেলেছে তার পারফরম্যান্সে। কেবল ব্যাটার হিসেবে খেলে তিন ম্যাচে করেছেন মোটে ৪৮ রান।

তাই বিশ্বকাপ এসেই হাঁটুর অস্ত্রোপচার করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি, 'জানুয়ারির শেষে ভারতের বিপক্ষে আমাদের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে। ওই সিরিজেই মাঠে ফেরার চেষ্টা করব। আশা করছি সিরিজের আগেই সুস্থ হয়ে যাব। কখন অস্ত্রোপচার করালে ঠিক হবে তা স্থির করতেই অনেকটা সময় চলে গিয়েছে। তবে এবার অস্ত্রোপচার করতেই হবে। হাঁটুর সমস্যা আমাকে খুব সমস্যায় ফেলছে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago