বিপিএলে এত ছোট সীমানা নিয়ে কেন খেলা হচ্ছে, প্রশ্ন তামিমের

Tamim Iqbal
বল গিয়ে সীমানার বাইরে পড়লে দূরত্ব দেখাচ্ছে ৫২ মিটার। অর্থাৎ বাউন্ডারির সীমানা ৫০ মিটারের আশেপাশে। যা বিস্ময়কররকমভাবে কম।

মিরপুরে মাঠের তিন দিকে দেখা গেল সীমানা ৬০ মিটারের চেয়েও কম, আরেক দিকে স্রেফ ৬০ মিটার। ৬০ মিটারের চেয়ে বেশি আছে তিনদিকে, এরমধ্যে মাত্র একদিকে সেটা ৭০ মিটারের সামান্য বেশি। এত ছোট বাউন্ডারি খালি চোখে লাগে দৃষ্টিকটু। সিলেটে সেই বাউন্ডারির আকার আরও কম, এমনকি ৫২ মিটারে যাওয়া বল পড়ছে সীমানা ছাড়িয়ে! এতে ব্যাটাররা বাড়তি সুবিধা পেলেও ব্যাটারদেরই অভিজ্ঞ একজন তামিম ইকবাল সেটা ভালো চোখে দেখছেন না। তিনি চান চার-ছক্কার সীমানা যেন বাড়ানো হয়। 

এবার বিপিএলে স্পোর্টিং উইকেটের প্রশংসা হচ্ছে। তবে উইকেটের কারণেই যে শুধু বড় রান হচ্ছে তা না, সীমানা কমিয়ে দেওয়াতেও বাউন্ডারির সংখ্যা বেড়েছে অনেক। অনেক মিসটাইমিংও ছক্কা হচ্ছে। যেসব বল ক্যাচ হওয়ার কথা সেসব পড়ছে বাউন্ডারির বাইরে।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম ধাপে এই দৃশ্য দেখার পর সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে যেন সীমানা আরও ছোট। প্রথম দিনেই তাই হয়েছে বড় রানের ম্যাচ। তামিম নিজেও খেলেছেন ৪৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস। হয়েছেন ম্যাচ সেরা।

তবে এরপর পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে সমালোচনা করেছেন বাউন্ডারি লাইন নিয়ে, 'যেভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হয়েছে, তা খুব ভালো। আমি যা দেখতে চাই, তা হলো আরও বড় সীমানা। জায়গা যখন আছে, তাহলে ৫৮-৬০ গজের বাউন্ডারিতে আমরা কেন খেলছি, জানি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৫-৭০ গজের বাউন্ডারি দেখা যায়। তখন বোলারদের জন্য কিছুটা সুযোগ থাকে।'

মিরপুরে দেখা গেছে ডানহাতি ব্যাটারদের জন্য স্কয়ার লেগের দিকে বাউন্ডারি মাত্র ৫৮ মিটার, ফাইন লেগে সেটা আরও কমে ৫৬ মিটার, একইভাবে থার্ড ম্যানের দিকেও ৫৬ মিটার। কাভারে ৬০ মিটার বাউন্ডারি রাখা হয়েছে। লং অন, লং অফে ৬৮ আর সোজা বাউন্ডারি রাখা আছে ৭১ মিটার। সিলেটে সোমবার একটি ছক্কা গিয়ে সীমানা ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে পড়লে দূরত্ব দেখা যায়  মাত্র ৫২ মিটার! বিস্ময়কররকম ছোট বাউন্ডারি। 

তামিম মনে করেন উইকেট ভালো হলে বাউন্ডারি ছোট করে রান উৎসব দেখানোর মানে নেই,  'উইকেট এবার এত ভালো…! কিউরেটরদের অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। দুর্দান্ত উইকেট তৈরি করেছেন তারা। তবে উইকেট যখন এত ভালো থাকে, তখন সীমানা বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি জায়গা থাকে। তাহলে বোলারদের জন্যও সুযোগ থাকে। এই মুহূর্তে বোলারদের জন্য কিছু নেই। শীর্ষ কর্তারা যারা সিদ্ধান্ত যা গ্রহণ করেন, আমার আশা ও প্রার্থনা, তারা আমার কথা শুনছেন এবং এই বাউন্ডারি আরেকটু পিছিয়ে দেবেন। কারণ জায়গা তো আছেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Apparel Buyers Delay Price Increases Post-Wage Hike Promise

Garment exports to US grow 17%

Bangladesh shipped apparels worth $5.74 billion in the July-March period to the USA

8h ago