‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড পেরিয়ে গেছে, তামিম সুস্থ আছেন’

Tamim Iqbal
তামিম ইকবাল। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

খেলার মাঠে হার্ট অ্যাটাক করে চরম সংকটাপন্ন অবস্থায় পড়া তামিম ইকবালের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। গতকাল জরুরি ভিত্তিতে হার্টে স্টেন্ট বসানোর পর তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিলো। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, আগামী কয়েক ঘণ্টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এবার তারা জানালেন,  'ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড' পেরিয়ে তামিম এখন অনেকটাই সুস্থ আছেন। তবে তাকে আগামী কিছুদিন সতর্ক থাকতে হবে।

মঙ্গলবার দুপুরে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের মিডিয়া পরিচালক ড. রাজীব হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'একটা ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে তিনি ছিলেন। পুরোপুরি না হলেও এই ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড পেরিয়ে এসেছি আমরা। উনি (তামিম) সুস্থ আছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন। সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা খুব সুন্দরভাবে উনাকে ছেড়ে দিতে পারব। কখন ছেড়ে দেব এটা উনাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত।'

সোমবার বিকেএসপিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে টসের সময়ও সুস্থ ছিলেন তামিম। টস পর পরই তিনি প্রচণ্ড বুকে ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হন, আবার ফিরে এসে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় যাওয়ার চেষ্টা হয়। তবে তখন আরও অসুস্থ হয়ে যান তিনি, এক সময় হয়ে পড়েন অচেতন। দ্রুততার সঙ্গে ফের তাকে কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়, রাস্তায় দেওয়া হয় সিপিআর। গুরুতর অবস্থায় তার হার্টে এনিজিগ্রাম করে ব্লক ধরা পড়লে পরানো হয় স্টেন্ট।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তামিমকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও চিকিৎসকদের সঠিক ও দ্রুত সিদ্ধান্ত তামিমকে রীতিমতো যমের দুয়ার থেকে ফিরিয়ে আনে।

সোমবার রাতেই তামিমের পরিস্থিতির উন্নতি দেখা যায়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা ও খাওয়া দাওয়া শুরু করেন তিনি। ধীরপায়ে তামিম হাঁটাচলাও করতে পারছেন।

কেপিজে হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসক জানিয়েছেন আগামী তিন মাস নিয়মিত পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকতে হবে তামিমকে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরলেও সহসাই ক্রিকেটিং এক্টিভিটিতে ফেরা হবে না তার।

তামিম যখন হাসপাতালে সেরে উঠার প্রক্রিয়ায়।  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মঙ্গলবার তিন ম্যাচেই তার দ্রুত আরোগ্যলাভের জন্য প্রার্থনা করা হয়। 

Comments

The Daily Star  | English

Leather legacy fades

As the sun dipped below the horizon on Eid-ul-Azha, the narrow rural roads of Kalidasgati stirred with life. Mini-trucks and auto-vans rolled into the village, laden with the pungent, freshly flayed cowhides of the day’s ritual sacrifices.

17h ago