শান্তর প্রশংসায় ‘ক্লীশে’ সব শব্দ ব্যবহারের প্রয়োজন দেখছেন বার্ল
এবার বিপিএলে দারুণ ছন্দে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলের পরিস্থিতির দাবি মিটছে তার ব্যাটে। এমনিতে রয়েসয়ে শুরুর পর তিনি মেলেন ডানা। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় শান্তর ব্যাট শুরু থেকেই ছিল উত্তাল। আরও একটি ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলা এই বাঁহাতি প্রশংসায় পরিচিত অনেক শব্দ ব্যবহার করতে চান না পরে ঝড় তোলা জিম্বাবুয়াইন ক্রিকেটার রায়ান বার্ল।
শনিবার রাতে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের ১৭৪ রান তাড়া করে ৭ উইকেটে জিতেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৪৪ বলে ৬০ রান করে ম্যাচ সেরা হন শান্ত। তার বিদায়ের পর চার নম্বরে নেমে মাত্র ১৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ জেতার কাজ অতি সহজ বানিয়ে দেন বার্ল।
রান তাড়ায় নেমে সিলেটের শুরুটা হয় ঝড়ো। তৌহিদ হৃদয়কে একপাশে রেখে দ্রুত রান আনতে থাকেন শান্ত। প্রথম ৫ ওভারে আসে ৫০ রান। যাতে ২২ বলে ৪২ রানই ছিল শান্তর। পাওয়ার প্লের পর কিছুটা শ্লথ হয় তার ছুটে চলা। তবে শেষ পর্যন্ত শান্তর গড়ে দেওয়া ভিত ধরেই ম্যাচ জেতার কাজটা সারতে পারে সিলেট। ম্যাচ সেরাও তাই দেয়া হয় তাকে।
সিলেটে যোগ দিয়ে প্রথম ম্যাচ নেমে বার্ল বিস্ফোরক ইনিংসে ভূমিকা রেখে সংবাদ সম্মেলনে এসে প্রশংসায় ভাসান শান্তকে, 'ব্যতিক্রমী...ব্যতিক্রমী (শান্তর ইনিংস)। যেভাবে সে পাওয়ার প্লেতে শুরু করছিল এরচেয়ে ভালো কিছু হতে পারত না। সব কৃতিত্ব তার, ক্লাসি, স্টাইলিশ… আপনি এরকম সব একঘেয়ে শব্দ ব্যবহার করতে পারেন তার বেলায়। দুর্দান্ত ছিল।'
শান্তর বিদায়ের পর বার্ল যখন ক্রিজে আসেন তখনো ম্যাচ জিততে ৪২ বলে ৬৪ রানের প্রয়োজন ছিল সিলেটের। তিনি যখন আউট হন, তখন সিলেটের চাই ২২ বলে স্রেফ ১৫ রান। ক্রিজে অল্প সময়ের উপস্থিতিতে ১৬ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ম্যাচ অতি সহজ বানিয়ে ছাড়েন তিনি। জানান, কাজটা দ্রুত সারার পরিকল্পনা ছিল আলোচনার ভিত্তিতেই, 'শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ড্রিংকস বিরতিতে আমরা আলাপ করছিলাম। যত পারি মারার চেষ্টা করব ভাবছিলাম। শেষ ওভার পর্যন্ত খেলাটা রাখতে চাইনি। শেষ ফল নিয়ে খুব খুশি।'
বাঁহাতি রিস্ট স্পিনারদের বিপক্ষে ভীষণ সফল বার্লের ব্যাটের ঝাঁজ এদিন টের পান নিহাদুজ্জামান। এই স্পিনারের এক ওভারে তিন ছক্কা আর দুই চারে ২৬ রান একাই নিয়ে নেন তিনি। বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে সফল হওয়ার তৃপ্তি তার, 'এটা রূপকথার মতো। অবশ্যই বাঁহাতি স্পিনারদের বিপক্ষে ইকোনমি রেট অনেক উঁচুতে। এটা বেশি ঝুঁকি নিয়ে বেশি প্রাপ্তির মতন ব্যাপার। তবে থিসারা পেরেরা, ইমাদ ওয়াসিমের মতো লোক পেছনে থাকা একটা লাইসেন্সের মতো (তেড়েফুঁড়ে খেলার) আমার কাছে।'
Comments