হাবিবুরের ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ মিরাজ
তিনি যখন ক্রিজে আসেন ১৯ বলে ম্যাচ জিততে তার দলের দরকার ৪৩ রানের। অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারের জন্যও পরিস্থিতিটা ভীষণ কঠিন। হাবিবুর রহমান সোহানের মতো আনকোরা কারো কাছে প্রত্যাশা করাও বাড়াবাড়ি। তবে সবাইকে চমকে বাকি সময়ে ঝড় তুলে ৩ বল আগেই কাজটা সেরে ফেললেন এই তরুণ। ফিফটি করা মাহমুদুল হাসান জয়কেও ছাপিয়ে গেলেন চার-ছয়ের তাণ্ডবে। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজও মুগ্ধ হাবিবুরের ঝলকে।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটা খুলনা টাইগার্স-ফরচুন বরিশাল দুই দলের জন্যই ছিল নিয়মরক্ষার। তাতে ৯ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে আলো কাড়লেন হাবিবুর।
বরিশালের ১৬৯ রানের জবাবে ১৩১ রানে ৪ উইকেট পড়ার পর ভিত নড়ে উঠেছিল খুলনার। এক প্রান্তে আগ্রাসী ব্যাটিং করে দলকে খেলায় রাখলেও জয়ের পক্ষে একা সব শেষ করা সম্ভব ছিল না, তার সঙ্গী হয়ে হাবিবুর নিলেন পুরো দায়িত্ব।
দেশের ক্রিকেটে একদমই অচেনা নাম হাবিবুর। ঢাকা প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলেন তিনি। রাজশাহীতে গত বছর স্থানীয় এক টুর্নামেন্টে ঝড় তুলে আলোচনায় আসেন। সেখান থেকেই বিপিএলে তাকে নেয় খুলনা।
টুর্নামেন্টের শুরুতে সুযোগও পেয়েছিলেন। অভিষেকে করেন ৬ বলে ৬, পরের ম্যাচে করেন ১১ বলে ৪। একাদশে জায়গা হারিয়ে কাটে হতাশার সময়। একদম শেষ ম্যাচে আবার সুযোগ পেয়ে নিজেকে চিনিয়ে ফেললেন তিনি।
৬ উইকেটে ম্যাচ হারার পর বরিশালের হয়ে এই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া মিরাজ জানালেন তার মুগ্ধতার কথা, 'অসাধারণ ব্যাটিং করেছে (হাবিবুর রহমান সোহান)। বিশেষ করে, এরকম চাপের পরিস্থিতিতে ব্যাট করেছে, এরকম উত্তেজনার ম্যাচ খেলেছে, অবশ্যই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে।'
'দুজনকেই কৃতিত্ব দিতে হয় আসলে। জয়ও (৪৩ বলে ৬৩*) শুরু থেকে খুব ভালো ব্যাট করেছে। আর সোহান যে ব্যাটিং করেছে, অবিশ্বাস্য একটি ইনিংস খেলেছে। ওর জন্য, ওর ক্যারিয়ারের জন্য অনেক ভালো হবে।'
৯ বলে ৩০ রান করার পথে দেখার মতো কিছু শট খেলেছেন ২৩ পেরুনো হাবিবুর। বিশেষ করে ইবাদত হোসেনের লো ফুলটস থেকে যেভাবে পাওয়ার জেনারেট করেছেন তা স্থানীয় খেলোয়াড়দের খুব একটা দেখা যায় না। শেষ ওভারে মিরাজের বলে একবার জীবন পাওয়ার পর বিশাল ছক্কায় উড়িয়ে শেষ করেছেন ম্যাচ।
Comments