বুধবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে বাংলাদেশের ২৫৬ রানের জবাবে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ম্যাচ হারে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ছিল বাংলাদেশের ৪০০তম ওয়ানডে।...
প্রথম দুই ওয়ানডের থেকেও শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের পুঁজিটা কম। কিন্তু এই ম্যাচেই এখন জেতার আশাটা বেশি উজ্জ্বল।
হারারেতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছে ৯ উইকেটে ২৫৬। ৮১ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আফিফ, বিজয় করে যান ৭১ বলে ৭৬।
ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালকেও ম্লান করে দাপট দেখাচ্ছিলেন এনামুল হক বিজয়। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরও কুঁকড়ে না গিয়ে তিনি ছিলেন আগ্রাসী।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত হয়েছে আগেই। হোয়াইটওয়াশের বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানোর লড়াইয়ে নেমেও অবস্থা ভাল নেই বাংলাদেশ দলের
হোয়াইটওয়াশড এড়ানোর মিশনে শেষ ম্যাচেও টস ভাগ্য পক্ষে এলো না তামিম ইকবালের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানায়, রোববার হারারেতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ২ ওভার কম বল করে বাংলাদেশ। তাতে নিয়ম অনুযায়ী শাস্তি পেতে হচ্ছে।
ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা কথা বলেছেন তাদের সাফল্যের নানান প্রসঙ্গে।
লিটন দাস চোটে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় এবং মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দেওয়ায় একাদশে দুই বদল অনুমিতই ছিল। লিটনের জায়গায় একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের পর গোড়ালির চোটে পড়েন মোস্তাফিজ। চোটের অবস্থা গুরুতর না হলেও তাকে নিয়ে কোন ঝুঁকি নিতে চায় না টিম ম্যানেজমেন্ট।
সাকিব আল হাসান না থাকায় একাদশে একজন বাঁহাতি স্পিনার রাখতে হলে ব্যাটিং শক্তি কমাতে হতো। রক্ষণশীল মানসিকতা নিয়ে এগুনো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট পাঁচ বোলার নিয়ে খেলার সাহস করেনি।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, দলে চোট সমস্যা থকায় কেবল শেষ ম্যাচের জন্য আজ জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে যাত্রা করছেন নাঈম ও ইবাদত।
ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ তাদের দুজনকে আগেভাগে সাজঘরে পাঠানোর সুযোগ এসেছিল টাইগারদের সামনে।
জিম্বাবুয়ের কাছে প্রথম ওয়ানডেতে হারের হতাশার মাঝে একটি খারাপ খবরও যোগ হলো বাংলাদেশের।
কাইয়া আউট হলেও রাজা মাঠে থাকলেন শেষ পর্যন্ত।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে দুজনেই তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। প্রথমে কাইয়া, পরে রাজা।
মাধেভেরে বিদায় নিলেও হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেন দারুণ খেলতে থাকা কাইয়া।
উইকেট উপহার দিয়ে ওপেনাররা সাজঘরে ফেরায় চাপে পড়ল জিম্বাবুয়ে।