কোনো না কোনো দিন ক্যাচ ফেলার মাশুল দিতে হতো: তামিম

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইনোসেন্ট কাইয়া ও সিকান্দার রাজার জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভুলে যাওয়া হারের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। অথচ তাদের দুজনকে আগেভাগে সাজঘরে পাঠানোর সুযোগ এসেছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু একে এক চারটি ক্যাচ ফেলার মাশুল দিয়ে সিরিজে পিছিয়ে পড়েছে তারা। ম্যাচের পর বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, অনেক দিন ধরেই ফিল্ডিংয়ের এই বেহাল দশা নিয়ে চিন্তিত তিনি।

শুক্রবার হারারেতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জিতেছে জিম্বাবুয়ে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম, লিটন দাস, এনামুল হক বিজয় ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২ উইকেটে ৩০৩ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে ১০ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ৩০৭ রান তুলে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা ১৯ ওয়ানডেতে হারার পর জয়ের দেখা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। তাদের আগের জয়টি ছিল নয় বছর আগে, ২০১৩ সালের মে মাসে বুলাওয়েতে। পাশাপাশি টাইগারদের বিপক্ষে এটাই তাদের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে করে জেতার কীর্তি।

তিনে নেমে কাইয়া ১১০ রান করেন ১২২ বলে। তিনি মারেন ১১ চার ও ২ ছক্কা। পাঁচে নামা রাজা অপরাজিত থাকেন ১৩৫ রানে। ১০৯ বলের আক্রমণাত্মক ইনিংসে তিনি হাঁকান ৮ চার ও ৬ ছক্কা। মাহমুদউল্লাহর বলে ছক্কা মেরে খেলা শেষ করেন তিনি।

ছবি: টুইটার

কাইয়া ও রাজা দুজনকেই জীবন দেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ২৭তম ওভারে রাজাকে ফেরানোর সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল। কিন্তু তাসকিন আহমেদের বলে শর্ট কভারে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন বদলি ফিল্ডার তাইজুল ইসলাম। তখন রাজার রান ছিল ৪৩। এরপর ৩৩তম ওভারে কাইয়ার দেওয়া ফিরতি ক্যাচ হাতে জমাতে ব্যর্থ হন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তখন তিনি ব্যাট করছিলেন ৭৪ রানে। এর আগেও ফিরতে পারতেন কাইয়া। ওই ওভারেরই প্রথম বলে থার্ড ম্যানে তার তোলা ক্যাচের নাগাল পাননি ঝাঁপিয়ে পড়া তাসকিন। বল পড়ে সামান্য সামনে। এরপর ৪৭তম ওভারে ফাইন লেগে তাসকিন তালুবন্দি করতে পারেননি লুক জঙ্গুয়ের ক্যাচও।

গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের অবস্থা করুণ। ক্যাচ ফেলার ঘটনা প্রায় প্রতি ম্যাচেই থাকে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেছেন, 'প্রতিদিনই আমি বলি যে ফিল্ডিং, ফিল্ডিং... আমরা অনেক ক্যাচ ফেলে দিচ্ছি। কোনো না কোনো দিন তো এর মাশুল দিতে হতো। আজকেই (শুক্রবার) ছিল সম্ভবত সেই দিন। অনেক বেশি সময় ধরে আমরা ক্যাচ ছেড়ে আসছি। বিশেষ করে, ওয়ানডেতে। তারপরও আমরা পার পেয়ে গেছি। দুই-তিনটি ক্যাচ ছেড়েও ম্যাচ জিতে গেছি। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে চারটি ক্যাচ ছাড়লে জেতা যায় না।'

Comments

The Daily Star  | English
capital flight in Bangladesh during Awami League's tenure

$14b a year lost to capital flight during AL years

Bangladesh has lost around $14 billion a year on average to capital flight during the Awami League’s 15-year tenure, according to the draft report of the committee preparing a white paper on the economy.

16h ago