ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ হওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন ফ্লিনটফ

অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ব্রেন্ডন ম্যাককালামের উত্তরসূরি হতে চান না। ইংল্যান্ড লায়ন্স ও দ্য হান্ড্রেড‑এর নর্দার্ন সুপারচার্জার্সে কোচিং করলেও ইংল্যান্ড জাতীয় দলের প্রধান কোচ হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ নেই তার।

বিবিসি'র টপ গিয়ার অনুষ্ঠান শুটিংয়ের সময় ভয়াবহ এক গাড়ি দুর্ঘটনায় পড়ার পর, দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফিরে এসেছেন সাবেক এই ইংল্যান্ড অধিনায়ক। চেহারা ও পাঁজরে গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর এখন তিনি লায়ন্স ও সুপারচার্জার্সে কোচিং করে নিজের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন।

লায়ন্সের সঙ্গে তার কাজ প্রশংসিত হওয়ায় জাতীয় দলের ভবিষ্যৎ কোচ হিসেবে তার নাম আলোচনায় এসেছে, বিশেষ করে যদি ম্যাককালাম ২০২৭ বিশ্বকাপ পর্যন্ত থাকা চুক্তি নবায়ন না করেন।

তবে ফ্লিনটফ এসব জল্পনার ইতি টানলেন স্টিক অব ক্রিকেট পডকাস্টে, 'আমি ম্যাককালামের জায়গায় যেতে চাই না। তিনি অসাধারণ—সবচেয়ে ভালো ইংল্যান্ড কোচ। তার তৈরি করা সংস্কৃতি চমৎকার। এটা অনেকটা গ্যারেথ সাউথগেটের কাজের মতো—শুধু ভালো খেলোয়াড় নয়, ভালো মানুষও তৈরি হয়েছে।'

'আমি এখন কিসির (রব কী) অধীনে কাজ করতে পেরে উপভোগ করছি। ও আমার সেরা বন্ধুদের একজন, জীবনের অনেক দিকেই আমাকে সাহায্য করেছে। ম্যাককালামের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক, পরস্পরের প্রতি গভীর সম্মান রয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে হোয়াইট‑বল কোচ ম্যাথু মোটের সহকারী হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে যুক্ত হয়েছিলেন ফ্লিনটফ। যদিও সেই বছর ভারতের বিশ্বকাপে তিনি দলের সঙ্গে যাননি। তবে পরে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সঙ্গে ছিলেন, যেখানে ইংল্যান্ডের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর মোট বরখাস্ত হন।

নর্দার্ন সুপারচার্জার্সের প্রথম মৌসুমেই দলকে প্লে‑অফের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন ফ্লিনটফ, আগের বছর যারা ছিল পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। লায়ন্সের কোচ হিসেবে গত শীতকালেও অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন, সম্প্রতি তারা ভারত 'এ' দলের সঙ্গে দুটি অনানুষ্ঠানিক টেস্ট ড্র করেছে।

৪৭ বছর বয়সী ফ্লিনটফ বলেন, 'এই মুহূর্তে আমি মনে করি আমি সঠিক জায়গাতেই আছি। লায়ন্সের সঙ্গে কাজটা আমার কাছে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার মাধ্যম নয়—আমি এতে পুরোপুরি নিবেদিত। এই ছেলেদের সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগছে।'

'আমি এখন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বা অন্য কিছু ভাবছি না। হান্ড্রেডে সুপারচার্জার্স করছি ঠিকই, হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে কাজ করাটা ভালো লাগে। কিন্তু আমার মনোযোগ এখানেই। আমি ভাবছি না "এবার পরেরটা কী?"' যোগ করেন

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

8h ago