টাইব্রেকারে কুয়েতকে হারিয়ে ফের সাফের শিরোপা জিতল ভারত
নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে লড়াইয়ে থাকল সমতা। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটেও আলাদা করা গেল না দুই দলকে। টাইব্রেকারের নিয়মিত পাঁচ শটের পরও অক্ষুণ্ণ রইল স্থিতাবস্থা। তবে সাডেন ডেথে নায়ক বনে গেলেন গোলরক্ষক গুরপ্রিত সিং সান্ধু। তার নৈপুণ্যে কুয়েতকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখল ভারত।
মঙ্গলবার কানায় কানায় পূর্ণ বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চকর ফাইনালের নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটে ছিল ১-১ সমতা। দুটি গোলই আসে খেলার নির্ধারিত সময়ের প্রথমার্ধে। ১৪তম মিনিটে শাবিব আল খালদি এগিয়ে দেন কুয়েতকে। ৩৮তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান লাল্লিয়ানজুয়ালা ছাংতে। এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চললেও আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শ্যুটআউটে। সেখানে সান্ধুর কল্যাণে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।
টাইব্রেকারে প্রথম পাঁচ শটের চারটিতে সফলভাবে লক্ষ্যভেদ করে দুই দল। চতুর্থ শটে ভারতের পক্ষে উদান্ত সিং কুমাম বল জালে জড়াতে ব্যর্থ হলেও নিশানা ভেদ করেন সুনিল ছেত্রি, সন্দেশ জিঙ্গান, ছাংতে ও শুভাশিস বোস। কুয়েতের হয়ে নেওয়া প্রথম স্পট-কিকটি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ দাহাম মিস করলেও লক্ষ্যভেদ করেন ফাওয়াজ আল ওতাইবি, আহমেদ আল দেফিরি, আব্দুল আজিজ নাজি ও আল খালদি।
এরপর সাডেন ডেথে হয় জমজমাট লড়াইয়ের ফয়সালা। ভারতের নাওরেম মহেশ সিং সফল শট নিলেও কুয়েতের খালিদ এল ইব্রাহিমের স্পট-কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন সান্ধু।
দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত সাফের সফলতম দল ভারত। প্রতিযোগিতাটির ১৪তম আসরে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে নবম শিরোপা। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত সাফের গত আসরে মালদ্বীপের মাটিতে ফাইনালে নেপালকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা।
আট দল নিয়ে আয়োজিত এবারের সাফের শিরোপা উঠল সাফভুক্ত একটি দেশের হাতেই। আমন্ত্রিত দল হিসেবে অংশ নিয়ে ফাইনালে ওঠার পর হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে হতাশায় পুড়তে হলো কুয়েতকে। গ্রুপ পর্বেও এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল। ওই ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা।
Comments