ছোটনও আর থাকছেন না নারী ফুটবল দলের সঙ্গে

Golam Rabbani Choton
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। ছবি: বাফুফে

গত বছরের সেপ্টেম্বরে নেপালের মাটিতে গোলাম রব্বানী ছোটনের অধীনে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। কিন্তু ভীষণ সুখের সেই সময় এখন যেন সুদূর অতীতে পরিণত হয়েছে! মাত্র আট মাস পর বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ছোটন।

শুক্রবার সাংবাদিকদের কাছে দায়িত্ব ছাড়ার আকাঙ্ক্ষা জানানোর পর দ্য ডেইলি স্টার যোগাযোগ করে ছোটনের সঙ্গে। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রখ্যাত এই কোচ নিজের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে বলেছেন, 'গত সাত-আট বছর ধরে নারীদের ফুটবলের জন্য আমি টানা কাজ করে আসছি। আমি ক্লান্ত। আমি বিরতি নিতে চাই।'

ছোটন ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে তার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষারকে জানিয়েছেন। শিগগিরই তিনি দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে লিখিত চিঠি দেবেন।

সাবেক ফুটবলার ছোটনের অধীনে দক্ষিণ এশিয়া ও এই অঞ্চলের বাইরে প্রচুর সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক নারী ফুটবল দলগুলোও। কোচিং ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত তার সেরা ক্ষণটি এসেছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তার নিবিড় পরিচর্যা ও তত্ত্বাবধানে সাফের শিরোপা ঘরে তোলে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। দেশে ফেরার পর খেলোয়াড়-কর্মকর্তাসহ ওই দলের সবাইকে ছাদখোলা বাসে করে বরণ করে নেওয়া হয়।

নারী সাফজয়ী বাংলাদেশ দলের আক্রমণের অন্যতম সেরা অস্ত্র ছিলেন সিরাত জাহান স্বপ্না। এদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়ে আচমকা পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এর পরপরই ছোটন জানিয়েছেন কোচের পদ ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছার কথা।

ছোটনের কাছ প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, জাতীয় দলের প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে না পারা এবং তার শিষ্যদের ফুটবল ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো হতাশাজনক নানাবিধ কারণে তিনি সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছেন কিনা। ৫৪ বছর বয়সী এই কোচ কোনো জবাব দেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন যে এই ভূমিকায় ফিরে আসার আর কোনো সম্ভাবনা তার নেই।

উল্লেখ্য, সাফের শিরোপা জেতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বাফুফে কম্বোডিয়া ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দিলেও তাদের কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago