সার্কভুক্ত দেশের ফুটবলারদের ‘স্থানীয়’ হিসেবে গণ্য করা হবে

আগামী ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ফুটবলারদের 'স্থানীয়' খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ ব্যবস্থাপনা কমিটি (পিএলএমসি) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাফুফের নির্বাহী কমিটির জরুরি সভায় সিদ্ধান্তটি অনুমোদন করা হয়েছে। তাছাড়া, বিদেশি কোটা কমানো, বাফুফের সদস্যদের ডাগআউটে দাঁড়াতে না দেওয়াসহ আরও কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে।
সভা শেষে পিএলএমসি চেয়ারম্যান ও বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, 'যদি কোনো ক্লাব সার্কভুক্ত দেশগুলোর খেলোয়াড় মাঠে নামাতে চায়, তবে তাদের স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবেই বিবেচনা করা হবে। আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই কোটার বিষয়টি চূড়ান্ত করব।'
অর্থাৎ সার্কভুক্ত বাকি সাতটি দেশ— ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের ফুটবলাররা আগামী মৌসুম থেকে 'বিদেশি' বিবেচিত হবেন না। তাদেরকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের মতো 'স্থানীয়' হিসেবে গণ্য করা হবে।
এই প্রসঙ্গে ইমরুল যোগ করেন, 'ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোও সম্ভবত দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (সাফ) পরামর্শ অনুসারে এই ধারণাটি বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।'
এই নীতিতে বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের সুযোগ কমবে কিনা, এমন প্রশ্নে তার জবাব, 'আমরা এটিকে আরও ইতিবাচকভাবে দেখতে চাই। কারণ, বাংলাদেশি ফুটবলাররাও বাংলাদেশের বাইরের লিগে খেলার সুযোগ পাবে।'
এছাড়া, বাফুফের নির্বাহী কমিটি, স্থায়ী কমিটি ও অ্যাডহক কমিটির যে কোনো সদস্যের ম্যাচ চলাকালীন ডাগআউটে দাঁড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পিএলএমসি।
বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। সবশেষ মৌসুমে ক্লাবগুলো ছয়জন বিদেশিকে নিবন্ধন করতে পারলেও এবার সর্বোচ্চ পাঁচজনের সঙ্গে চুক্তি করা যাবে।
এর মধ্যে স্কোয়াডে থাকতে পারবেন চারজন এবং মূল একাদশে সর্বোচ্চ তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় রেখে মাঠে নামতে পারবে ক্লাবগুলো। ম্যাচ চলাকালীন একজন বিদেশির বদলি হিসেবে আরেকজন খেলতে পারবেন।
নতুন মৌসুমের জন্য খেলোয়াড় নিবন্ধনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১ জুন থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। মৌসুম শুরু হবে ১২ সেপ্টেম্বর, চ্যালেঞ্জ কাপ দিয়ে।
মোট পাঁচটি প্রতিযোগিতা আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে দেশের ফুটবলের শীর্ষ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফে। সেগুলো হলো চ্যালেঞ্জ কাপ, ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ, সুপার কাপ ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)।
Comments