আইপিএল অভিষেকে তাক লাগানো গতি দিয়ে আলোচনায় তরুণ
শারীরিক গড়ন দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি বারুদ জমা! আইপিএলের অভিষেকে মায়াঙ্ক যাদব বল হাতে প্রথম ডেলিভারিটিই করেন ঘন্টায় ১৪৭ কিলোমিটার ছাড়িয়ে, পরে গতি নিয়ে যায় দেড়শো কিলোমিটারের বেশি, ১৫৫.৮ কিলোমিটার! এবারের আসরের সবচেয়ে গতিময় ডেলিভারি। গতির সঙ্গে দারুণ নিয়ন্ত্রণের মিশেলে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়কও তিনি।
শনিবার পাঞ্জবের কিংসের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অভিষেক হয় লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের ২১ পেরুনো পেসার মায়াঙ্ককের। ৪ ওভারের স্পেলে ২৭ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে উড়তে থাকা পাঞ্জাবের ডানা কেটে ম্যাচ সেরা হন তিনি।
মায়াঙ্ক যখন বল করতে আসেন ২০০ রান তাড়ায় ৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৮৮ তুলে ফেলেছে পাঞ্জাব। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে উত্তাল শেখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো। ওই ওভারে ১৪৭.১, ১৪৬.৪, ১৫০.০, ১৪৮.৬ কিলোমিটার গতিতে বল করেন তিনি। পরের ওভারে প্রথম বলটিই স্পর্শ করেন ১৫৫। গতিতে পরাস্ত করে আউট করেন বেয়ারস্টোকে।
নিজের তৃতীয় ওভারে প্রভাসিমরান ও শেষ ওভারে জিতেশ শর্মার উইকেট নিয়ে পাঞ্জাবের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন মায়াঙ্ক। এক পর্যায়ে দারুণ উড়তে থাকা পাঞ্জাব পরে থামেন ১৭৮ রানে। অভিষেকেই ম্যাচ সেরা হন মায়াঙ্ক।
২০২২ সালের আইপিএলে ১৫৭ কিলোমিটার গতি তোলে আলোচনায় এসেছিলেন উমরান মালিক। ভারতের জাতীয় দলেও খেলেন তিনি। তবে গতির সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারায় উমরানের একাদশে জায়গা পাওয়া হয় কঠিন। মায়াঙ্কের গতির সঙ্গে আছে দারুণ নিয়ন্ত্রণ।
২০২২ সালের আইপিএলে নিলামে তাকে মাত্র ২০ লাখ রুপিতে দলে নেয় লক্ষ্ণৌ। সেবার সুযোগ পাননি, ২০২৩ সালে খেলতে পারেননি চোটের কারণে। দিল্লির হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা তরুণ এবার সেরা অবস্থায় এসেছেন আইপিএল।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়ে জানান স্টাম্পে রেখে গতি তোলাই লক্ষ্য ছিলো তার, 'এমন ভালো অভিষেক আশা করিনি, অভিষেকের সময় স্নায়ুচাপ থাকে বলে শুনেছি। প্রথম বলের পর আমার তা কেটে যায়। বেশি পরিকল্পনা করিনি। চেয়েছি স্টাম্পে বল রেখে যতটা সম্ভব গতি তোলা।'
মায়াঙ্কের গতি দেখে মুগ্ধ সাবেক অজি গতি তারকা ব্রেট লি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, 'ভারত তাদের সবচেয়ে গতিময় পেসার পেয়ে গেছে, নিখাদ গতি, খুবই দারুণ।'
Comments