তৃতীয় ম্যাচেই চোটে পড়লেন ভারতের নতুন গতি তারকা
মাত্র ৮ ওভার বল করেই হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। ওই ৮ ওভারের মধ্যেই যে ছিলো আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটারের বেশি গতির ডেলিভারি। আইপিএলে নিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হয়েছেন সেরা। তবে সাড়া জাগানো তরুণ পেসার তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই পেলেন চোট।
রোববার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষেও সবার নজর ছিলো মায়াঙ্কের দিকে। লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের ১৬৩ রান সামাল দিতে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে পান মায়াঙ্ক। কিন্তু এবার ভুগতে থাকেন তিনি। ওই ওভারে তার তুলনায় গতি তুলতে পারেননি, হজম করেন তিন বাউন্ডারি। এরপর ম্যাচে আর বল করা হয়নি মায়াঙ্কের। খেলার মাঝে সাইড স্ট্রেনের চোটে মাঠ ছাড়েন ২১ পেরুনো ডানহাতি পেসার।
তীব্র গতি আর দারণ নিয়ন্ত্রণে ব্যাটারদের আতঙ্কের কারণ হওয়া মায়াঙ্ক দুই ম্যাচ দিয়েই ভারতের জাতীয় দলের আলোচনায় চলে এসেছিলেন। তবে চোট তাকে দিল অস্বস্তি।
মায়াঙ্কের চোট সম্পর্কে লক্ষ্ণৌ বিস্তারিত না জানালেও ম্যাচ শেষে ক্রুনাল পান্ডিয়া এসে শোনান আশাবাদী খবর, 'আমি জানি না মায়াঙ্কের নির্দিষ্টভাবে কি হয়েছে। কিন্তু কয়েক মুহূর্ত তার সঙ্গে থাকা হয়েছে ওই সময়। আমার ধারণা সে ঠিক আছে আগামী ম্যাচগুলোর জন্য। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক খবর। গত মৌসুমে চোটের পড়ার আগেও দারুণ ছিলো নেটে। তার সঙ্গে যতটা আমার কথা হয়েছে, তাকে যতটা দেখেছি। তার মাথা খুব পরিষ্কার। তার ক্যারিয়ার কীভাবে এগুয় তা দেখতে রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষায় আছি।'
২০২২ সালের নিলামে ২০ লাখ রুপিতে মায়াঙ্ককে দলে নেয় লক্ষ্ণৌ। ২০২৩ সালের আইপিএলে চোটের কারণে খেলা হয়নি তার। এবার পুরো ফিট অবস্থায় নেমে সেরা ছন্দ দেখাতে থাকেন তিনি। দুই ম্যাচে গতির ঝড়ে নেন ৬ উইকেট। তবে তৃতীয় ম্যাচে পাওয়া চোটটা তাকে শেষ পর্যন্ত রাখল অনিশ্চয়ার মধ্যে।
মায়াঙ্ক চোটে পড়াতেও এদিন সমস্যা হয়নি লক্ষ্ণৌর। আরেক তরুণ যশ ঠাকুরকে ৩০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে গুজরাটকে ১৩০ রানে আটকে বের করে দেন ম্যাচ।
Comments