শেষ বিকেলে তিন উইকেট হারিয়ে উল্টো চাপে বাংলাদেশ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শ্রীলঙ্কাকে তিনশোর নিচে আটকে দারুণ স্বস্তির দিন পার করার দিকে ছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশন খারাপ গেলেও পেসারদের নিয়ে উদযাপনে উপকরণ ছিলো বিস্তর। তবে নিজেরা ব্যাট করতে নেমে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে তৈরি হয়েছে চাপ। ঝলমলে শুরুর পর এখন লঙ্কানদের দাপটই বেশি।

সিলেটে প্রথম টেস্টে প্রথম দিন শেষে ২৪৮ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ১০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩২ রান তুলেছে স্বাগতিক দল।

তৃতীয় ওভারেই প্রথম ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। বিশ্ব ফার্নেন্দোর ভেতরে ঢোকা বল পেছনের পায়ে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন জাকির হাসান। এলবিডব্লিউর আউটে রিভিউ নিয়েও লভ হয়নি। পঞ্চম ওভারে একইভাবে বিদায় অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। বিশ্বকে পেছনের পায়ে খেলতে যান তিনিও। রিভিউও নষ্ট করে বিদায় নেন ৫ রান করে।  

Najmul Hossain Shanto
রান করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চারে নামা মুমিনুল হক কাসুন রাজিতার বলে ব্যাটের ফেইস ওপেন করে থার্ডম্যান দিয়ে এক বাউন্ডারি পেয়েছিলেন। আরেকটু উপরে উঠা আরেক বল তার ব্যাটে ছোবল হেনে জমা পড়ে স্লিপ ফিল্ডারের হাতে। ৩১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর বাকিটা সময় টিকে থাকার জন্য নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলামকে পাঠিয়ে দেয় বাংলাদেশ। 

এক প্রান্তে উইকেট পতনের মাঝে ৩০ বলে ৯ রান করে অপরাজিত আছেন মাহমুদুল হাসান জয়। 

অথচ সৈয়দ খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বাংলাদেশের দিনের শুরুটা ছিলো স্বপ্নের মতন। টস জিতে ঘাসের উইকেটে বোলিং বেছে লঙ্কান টপ অর্ডারে হানা দেন খালেদ। ৮ ওভারের স্পেলে তিনি ফিরিয়ে দেন নিশান মাধুশকা, দিমুথ করুনারত্নে আর কুশল মেন্ডিসের উইকেট।

আয়েশি ঢঙে রান নিতে গিয়ে রান আউটে ফেরেন অভিজ্ঞ অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শরিফুল ইসলামের বলে আলগা শটে থামেন আরেক অভিজ্ঞ দীনেশ চান্দিমাল। ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কেঁপে উঠে শ্রীলঙ্কা।

ছয় বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নিয়ে খেলতে নামা সফরকারীদের লেজ ছিলো অনেক লম্বা। আর একটি উইকেট তখন ফেললে তিন অঙ্ক স্পর্শ করাই মুশকিল হতো তাদের। সেই সুযোগও এসেছিলেন। শরিফুলের বলে স্কিলে শূন্য রানে কামিন্দুর ক্যাচ ফেলেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেই ব্যাটারই পরে করেন ১০২ রান।

অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৬ষ্ঠ উইকেটে গড়েন ২০২ রানের জুটি, দ্বিতীয় সেশনে আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে ১২৫ রান যোগ করেন দুজন। দুজনেই করেন সেঞ্চুরি। শেষ সেশনে গিয়ে নিজের ঝলক দেখান অভিষিক্ত নাহিদ রানা।

দুই সেঞ্চুরিয়ানই ফেয়ান তিনি। খরুচে বল করলেও গতির ঝাঁজে নেন ৩ উইকেট। ৫ উইকেটে ২৫৯ থেকে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। তাদের ইনিংসে কেবল চারজন পেরুনো দুই অঙ্ক। এরমধ্যে দুই সেঞ্চুরিয়ান ছাড়া কেউ ২০ রানও করেননি।

দিনটাতে স্পষ্ট দাপট রাখতে পারত বাংলাদেশ। তবে শেষ বিকেলের আলোয় টপ অর্ডার কেঁপে উঠায় এখন স্বাগতিকদের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

9h ago