৩৩০-৩৪০ রানের উইকেট ছিলো: হৃদয় 

Towhid Hridoy
তাওহিদ হৃদয়। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সৌম্য সরকার-নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে ভালো শুরুর পর মাঝের ওভারে পথ হারানো বাংলাদেশ মনে হচ্ছিলো থামতে পারে আড়াইশর আশেপাশে। তবে তাওহিদ হৃদয়ের ঝলকে সেই রান যায় তিনশোর কাছে। ম্যাচ হারার পর হৃদয়ের মনে হচ্ছে উইকেটে অনুযায়ী রান বেশ কিছুটা কম করেছেন তারা।

চট্টগ্রামে দুই ওয়ানডের বাস্তবতা হলো দুই রকম। দুই ম্যাচেই টস জিতল লঙ্কানরা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে শিশিরের প্রভাবে ম্যাচে থাকতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আর ভুল করেনি। বাংলাদেশ ২৮৬ রান করলেও ১৭ বল আগে ৩ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা আনে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা পারফরমার ছিলেন হৃদয়। ১০২ বলে তিনি খেলেন ৯৬ রানের অপরাজিত ইনিংস। এর আগে সৌম্যের ৬৬ বলে ৬৮ ও শান্তর ৩৯ বলে ৪০ রানে বড় পুঁজির ভিত পেয়েছিল স্বাগতিকরা।

রান তাড়ায় ৪৩ রানে ৩ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত পাথুম নিসাঙ্কার ১১৪ আর চারিথা আসালাঙ্কার ৯১ রানে ম্যাচ পকেটে পুরে লঙ্কানরা। হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে এসে হৃদয় বোলারদের কোন দায় দেননি। তিনি জানান এই উইকেটে মূলত রানটা কম করেছেন তারা,  'রান আমার মনে হয় ২০-৩০ রান (ঘাটতি)...উইকেটটা যেমন ছিল ৩৩০/৩৪০ এর উইকেট।আমরা থিতু হয়ে যদি আরেকটু ক্যারি করতাম, যারা থিতু হয়েছিলাম। তাহলে হয়তোবা দৃশ্যটা ভিন্ন হতো।'

রান কম হওয়ার পেছনে থিতু হওয়া ব্যাটারদের দায় দেখছেন হৃদয়।  এক পর্যায়ে ২১ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিলো ২ উইকেটে ১৩০। দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য বড় শটের চেষ্টায় ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। খানিক পরই কোন রান না করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ। থিতু হয়ে বিদায় নেন মুশফিকুর রহিমও। ১৭৩ রানে ৫ উইকেট এবং দুইশোর আগেই পড়ে যায় ৬ উইকেট।

উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া ব্যাটারদের ইনিংস টেনে নিতে পারলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত,  'আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আমি সৌম্য ভাই বা যারা আমরা সেট হয়েছি হয়তোবা আমরা যদি ইনিংসটা আরেকটু ক্যারি করতাম, ওপর থেকে যদি আমি আর সৌম্য ভাই যখন খেলছিলাম, আমি সৌম্য ভাইকে বার বার বলেছিলাম সৌম্য ভাই আজকে খেলতে হবে। তো সৌম্য ভাইর ইনিংসটা যদি আরেকটু বড় হতো বা শান্ত ভাইর ইনিংসটা যদি আরেকটু বড় হতো, তাহলে হয়তোবা খেলার চিত্রটা আরেকটু ভিন্ন হতো।'

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

9h ago