পিছিয়ে থেকেও যেভাবে জেতার সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ

Sri Lanka

দুই দিন খেলা হওয়ার পরও উইকেটে কোন ফাটল দেখা যায়নি। বেশ পোক্ত উইকেটে ঘাস একটু বসে যেতে শুরু করেছে। তাতে ব্যাটারদের জন্য পরিস্থিতি খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা না।  এই অবস্থায় নিরাপদ জায়গায় যেতে অন্তত আরও একশো রান করতে চায় শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশের ইচ্ছা লক্ষ্যটা আড়াইশোর আশেপাশে রাখার।

সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে দুইটি সম্ভাবনাই উজ্জ্বল। জিততে পারে যেকোনো দল। ম্যাচের পরিস্থিতি বলছে প্রতিকূল আবহাওয়ার প্রভাব না থাকলে এই টেস্ট পঞ্চম দিনে বেশি যাওয়ার কঠিন। ম্যাচে এখনো শ্রীলঙ্কা কিছুটা এগিয়ে থাকলেও সম্ভাবনাই বাইরে নেই বাংলাদেশ। নাগালে থাকা লক্ষ্য পেল কাজটা সম্ভব স্বাগতিকদেরও।

শ্রীলঙ্কার ২৮০ রানের জবাবে ১৮৮ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসেও ভালো বল করছে। ৫ উইকেট ১১৯ রান তুলে দিন শেষ করেছে তারা।

হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ২১১ রানে এগিয়ে আছে লঙ্কানরা। শেষ বিকেলে দিমুথ করুনারত্নে ফিফটি করে আউট হয়ে যাওয়ায় নাইটওয়াচম্যান হিসেবে বিশ্ব ফার্নেন্দোকে পাঠিয়েছে দলটি। বাইরে আছেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কামিন্দু মেন্ডিস। ২৩ রান করে ক্রিজে আছেন প্রথম ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তবে ধনঞ্জয়া আর কামিন্দু ছাড়া বাকি কেউই ব্যাটার নন। এই হিসেবে হাতে ৫ উইকেট থাকলেও খুব বেশি দূর নাও যেতে পারে সফরকারীরা।

বাংলাদেশও আছে সেই আশায়। দিনের খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প জানালেন, লক্ষ্যটা আড়াইশোর পাশে রাখতে চান তারা, '৫১ ওভারের বেশি ব্যাট করতে না পারায় আমরা হতাশ। এটা একটু হতাশাজনক তবে যেটা হয়েছে এটাই। আমরা শেষ বিকেলে উইকেট নিয়েছি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আরও বেশি উইকেট নিতে পারিনি। তারা ২১১ রান এগিয়ে আছে। কাল সকালে যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি তাহলে আমরা ২৫০ রান তাড়ার করার দিকে লক্ষ্য রাখব।'

তিনশোর ভেতর লক্ষ্য থাকলে রান তাড়া সম্ভব হতেও পারে। কারণ এখনো পর্যন্ত উইকেট ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো দেখছেন হেম্প, 'সব ব্যাটারই বলেছে উইকেট ভালো। ভালো শটের ফল পাওয়া যাচ্ছে। কিছু বল নিচু হতে দেখেছি শেষ সেশনে। কিন্তু এই ডেলিভারিগুলো বেশ বাইরে ছিলো। এসব ছাড়া আপনি আলগা বল দিলেই সাজা পাবেন। কালও খুব বেশি বদল হওয়ার কথা না।'

শ্রীলঙ্কার বোলিং কোচ দর্শনা গামাগেও মনে করেন, ম্যাচ নিরাপদ জায়গায় নিতে অন্তত একশো রান করতে চান তারা, 'আমার মনে হয় তিনশোর বেশি করতে পারলে সেটা ডিফেন্ড করার জন্য ভালো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

8h ago