একাদশে ফিরেই শরিফুলের ঝাঁজ
প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসে অপেক্ষায় ছিলেন শরিফুল ইসলাম। নিজেকে প্রমাণের তাড়না হয়ত ছিল প্রবল। ভেতরের আগুন বের করলেন দারুণ বোলিংয়ে। আফগানিস্তানকে ধসিয়ে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নিজের দাবি জোরালো করেছেন এই বাঁহাতি পেসার।
মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন শরিফুল। ৯ ওভার বল করে ২১ রান দিয়ে পান ৪ উইকেট। ওয়ানডেতে তৃতীয় চার উইকেট নেওয়ার পথে করেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। তার অমন দাপটে আফগানিস্তান মাত্র ১২৬ রানে গুটিয়ে যায়।
একাদশে একজন পেসার কমিয়ে শুরু থেকেই ঝাঁজালো হয়ে উঠেন পেসাররা । শরিফুল শুরু থেকেই উইকেট থেকে বাড়তি বাউন্স আদায় করে চাপে ফেললেন ব্যাটারদের। প্রথম উইকেটটি অবশ্য পেয়েছেন আড়াআড়ি বেরিয়ে যাওয়া বলে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইব্রাহিম জাদরান এবার ১ রান করেই জমা পড়েন মুশফিকের গ্লাভসে।
এক বল পরই রহমত শাহর ক্যাচ উঠে গালিতে। মিরাজ তা নিতে না পারলেও অপেক্ষে পুড়তে হয়নি বাংলাদেশকে। কারণ পরের বলেই রহমতকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান শরিফুল।
মোহাম্মদ নবিকে নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছিলেন অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদি। রানের চাকা মন্থর হয়ে গেলেও টিকে থাকার দিকে মন দিচ্ছিলেন তারা, লাভ হয়নি। নবম ওভারে নিজের প্রথম স্পেলে আরেক সাফল্য শরিফুলের। তার বলে ফ্লিক খেলতে গিয়ে পায়ে লাগিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন নবি।
খানিক বিরতি নিয়ে পরের স্পেলে ফিরেই চতুর্থ শিকার ধরেন তিনি। অভিষিক্ত আব্দুল রহমান শরিফুলের শর্ট বল পুল করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। ফাইন লেগে সহজ ক্যাচ লুফেন তাইজুল ইসলাম।
নিজের স্পেলের শেষ ওভার বল করার আগেই আফগানরা গুটিয়ে গেলে পাঁচ উইকেটের সুযোগ নেওয়া হয়নি শরিফুলের।
Comments