আগ্রাসন সহজাতভাবেই চলে আসে শরিফুলের
তেড়েফুঁড়ে বল করছিলেন শরিফুল ইসলাম। উইকেট নিয়ে খ্যাপাটে উল্লাস তো করছিলেনই, ব্যাটারকে কোন বলে পরাস্ত করলেই ছুটি গিয়ে কিছু একটা বলতে চাইছিলেন। বোলিংয়ের পাশাপাশি শরীরী ভাষাতেও আগুণ ঝরিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের নায়ক তিনি।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামে দুপুরের কড়া রোদেও ব্যাটারদের গতি-বাউন্সে কাবু করতে থাকেন শরিফুল। আফগান টপ অর্ডার ধসে যায় তার প্রথম স্পেলে। নবম ওভারে ১৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে আফগানরা। যার তিনটাই নেন শরিফুল। প্রথম স্পেল শেষে তার বোলিং ফিগার ছিল ৫-১৮-৩!
পরের স্পেলে ফিরে পেয়েছেন আরেক উইকেট। সব মিলিয়ে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে করেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। তার ঝাঁজেই ১২৬ রানে আটকে বাংলাদেশের কাছে ৭ উইকেটে উড়ে যায় আফগানিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচে বেঞ্চে বসেছিলেন। শেষ ম্যাচে সুযোগটা পাবেন আগেই জানতেন। বিশ্বকাপ সামনে রেখে সুযোগ কাজে লাগাতে ছিলেন মরিয়া। তবে জানালেন ভেতরের বারুদ বিশেষ কোণ কারণে নয়, এমনিতেই বেরিয়ে যায় তার, 'জেদ ছিল না। আমি অনুশীলনে যেমন চেষ্টা করছিলাম ম্যাচেও তেমনি চেষ্টা করেছি। শরীরী ভাষাটা চলে আসে। ড্রেসিং রুমে গিয়ে ভাবি যে এমন করা যাবে না। কিন্তু তবুও সহজাতভাবে চলে আসে (আগ্রাসন)।'
প্রথমবার ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পাওয়ার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু পেশিতে টান পড়ায় কোটা পুরো হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন। পরে যখন ফেরেন বল হাতে পাওয়ার আগেই গুটিয়ে যায় আফগানরা।
এদিন অনেক বেশি শর্ট বল করে সাফল্য পেয়েছেন শরিফুল। জানালেন তাসকিন আহমেদের পরামর্শে খাটো লেন্থে বল ফেলে সাফল্য আনতে চেয়েছেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচেও ভিন্ন পেস আক্রমণ খেলিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ পেসারের সবাইকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে ম্যাচ। তবে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পেসারদের পারফরম্যান্স ছিল না প্রত্যাশিত। তা নিয়ে দলের ভেতর আলাপ হয়েছে। সেই আলাপের ফলই মিলেছে শেষ ম্যাচে, 'অবশ্যই, আমরা মিটিংয়ে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যেরকম বোলার ওরকম চেষ্টা করেছি। আমরা যেন পরের ম্যাচগুলোতে আগের মত ফিরে আসতে পারি, ওভাবে চেষ্টা করছি।'
Comments