সাঙ্গাকারার রেকর্ড স্পর্শ করতে পারলেন না ফখর

ছবি: এএফপি

টানা তিনটি ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা ফখর জামানের সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে আরও উচ্চতায় নেওয়ার। কিন্তু এবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারলেন না পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার। এতে কুমার সাঙ্গাকারার টানা চার ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ড ছোঁয়া হলো না তার।

অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েন সাঙ্গাকারা। প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে শ্রীলঙ্কার সাবেক তারকা টানা চারটি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। তিনি তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন যথাক্রমে বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে।

পাকিস্তানের হয়ে আগের তিন ওয়ানডেতে শতরানের স্বাদ নেওয়ায় সাঙ্গাকারার রেকর্ডে ভাগ বসানোর পথে ছিলেন ফখর। তবে বুধবার নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। করাচিতে কিউইদের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আউট হন ২৬ বলে ১৯ রানে। পেসার ম্যাট হেনরির অফ স্টাম্পের বাইরের বলে টপ এজ হয়ে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে।

টানা তিনটি সেঞ্চুরিই ৩৩ বছর বয়সী ফখর করেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। চলমান সিরিজের প্রথম দুটি ওয়ানডেতে রাওয়ালপিন্ডিতে যথাক্রমে ১১৭ ও অপরাজিত ১৮০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তার নৈপুণ্যে দুই ম্যাচেই জেতে স্বাগতিকরা। এর আগে গত জানুয়ারিতে করাচিতে তার ব্যাট থেকে আসে ১০১ রান। ওই ম্যাচে অবশ্য হেরে যায় পাকিস্তান।

পাকিস্তানের চতুর্থ ও সব মিলিয়ে দ্বাদশ ব্যাটার হিসেবে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পরপর কমপক্ষে তিনটি সেঞ্চুরি করেন ফখর। তার আগে এই কীর্তি গড়া তিন পাক ক্রিকেটার হলেন জহির আব্বাস, সাঈদ আনোয়ার ও বাবর আজম।

ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ওয়ানডেতে দুবার টানা তিনটি শতরানের রেকর্ড বাবরের দখলে। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথমবার তিনি এই স্বাদ নেন। এরপর অস্ট্রেলিয়া (দুটি) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (একটি) বিপক্ষে ম্যাচ মিলিয়ে পাকিস্তান অধিনায়ক টানা তিন সেঞ্চুরি করেন ২০২২ সালে।

সবার আগে টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরির নজির স্থাপন করেন আব্বাস। সবগুলো ম্যাচেই পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে আব্বাস ১৯৮২ সালে দুটি ও ১৯৮৩ সালে একটি সেঞ্চুরি করেন।

টানা তিন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকানো বাকি ক্রিকেটাররা হলেন নিউজিল্যান্ডের রস টেইলর, ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো, ভারতের বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার হার্শেল গিবস, এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন্টন ডি কক।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago