আইপিএল

গিলের ফিফটির পর এক বাউন্ডারিতেই নায়ক তেওয়াতিয়া

বৃহস্পতিবার মোহালিতে পাঞ্জাবের মাঠে গিয়ে বেশিরভাগ সময় দাপট দেখালো গুজরাট। পাঞ্জাব ম্যাচে ফিরলেও শেষ ওভারের উত্তেজনার পর গুজরাটই জিতল ৬ উইকেটে।
Shubman Gill
শুভমান গিলের ফিফটি শেষ পর্যন্ত বিফলে যায়নি। ছবি: আইপিএল

আইপিএলে চলতি সপ্তাহে শেষ ওভার আর শেষ বলের উত্তেজনা যেন হয়ে পড়েছে অবধারিত। শেষ বলে না হলেও শেষ ওভারের উত্তেজনা থাকল গুজরাট টাইটান্স-পাঞ্জাব কিংস ম্যাচেও। শুভমান গিলের ফিফটিতে একটা পর্যায়ে একপেশে পরিণত হওয়া ম্যাচে প্রাণ ফেরালেন স্যাম কারান। দুর্দান্ত  বল করে শেষ ওভারে তৈরি করলেন সম্ভাবনা, দারুণ এক বাউন্ডারিতে তা আবার মিইয়ে দিলেন রাহুল তেওয়াতিয়া।

ঘরের মাঠে আগের ম্যাচটায় রিঙ্কু সিংয়ের শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কায় প্রথম হারের দেখা পেয়েছিল গুজরাট। বৃহস্পতিবার মোহালিতে পাঞ্জাবের মাঠে গিয়ে বেশিরভাগ সময় দাপট দেখালো গুজরাট। পাঞ্জাব ম্যাচে ফিরলেও শেষ ওভারের উত্তেজনার পর গুজরাটই জিতল ৬ উইকেটে।

আগে ব্যাট করে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৫৩ রানের মাঝারি পুঁজি পায় পাঞ্জাব। ওপেন করতে নেমে পুরো ইনিংস ব্যাট করে সেই রান সহজ বানিয়ে ছাড়ছিলেন গিল। তার ৪৯  বলে ৬৭  রানের ইনিংসের পর এক বল আগে ম্যাচ জিতেছে গুজরাট।

ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। হাতে ৭ উইকেট। ফিফটি করে অপরাজিত গিল। কাজটা তখন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতার। কিন্তু দুই বাঁহাতি পেসার আর্শ্বদীপ আর কারান ভাবলেন ভিন্ন। আর্শ্বদীপের ১৯তম ওভার থেকে এলো ৬ রান।

শেষ ওভারে দরকার ছিল ৬ রান। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিলেন ডেভিড মিলার। পরের বলে গিলকে বোল্ড করে জারান। নিখুঁত ইয়র্কারে পরের দুই বল থেকে আসে আরও কেবল দুই রান। চতুর্থ বলে রান আউটের সুযোগও তৈরি হয়েছিল, তা হাতছাড়া করেন পাঞ্জাবের কিপার।

২ বলে দরকার ৪ রান। অফ স্টাম্পের বাইরে ফুল লেন্থের ডেলিভারি করতে চেয়েছিলেন কারান। সরে গিয়ে স্কুপ করে দেন তেওয়াতিয়া। ফাইন লেগ উপরে থাকায় বল বাউন্ডারি পার হলে উল্লাসে মাতেন তিনি। মাত্র ২ বলে ৫ রান করেও ম্যাচে বিশাল ভূমিকা রাখলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

রান তাড়ায় ঋদ্ধিমান সাহাকে নিয়ে উড়ন্ত শুরু আনেন গিল। শুরুতে ঋদ্ধিমানই ছিলেন বেশি আগ্রাসী। ঝড়ো ব্যাট করে বের করতে থাকেন একের পর এক বাউন্ডারি। ৪.৪ ওভার স্থায়ী ওপেনিং জুটিতে চলে আসে ৪৮ রান। ১৯ বলে ৫ চারে ৩০ রানই ঋদ্ধিমানের। কাগিসো রাবাদার বলে তার বিদায়ের পর সাই সুদর্শনকে পাশে পান গিল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে যোগ হয় আরও ৪১ রান।

সুদর্শন ১৯ করে ফেরার পর সঙ্গ দিতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তখন ম্যাচে ফেরার অবস্থা ছিল পাঞ্জাবের। গিল সেটা মিলিয়ে দেন দক্ষ হাতে। মিলারের সঙ্গে ৩০ বলে ৪০ রানের জুটিতে অনায়াসে তরি তীরে ভেড়ানোর দিকে ছিলেন। শেষ ওভারে গিয়ে হলো নাটক।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে  গুজরাট পেসারদের তোপে পড়ে পাঞ্জাব। মোহাম্মদ শামি আর জস লিটল তুলে নেন দুই ওপেনারকে।

ম্যাথু শর্ট ডানা মেলার চেষ্টা করতে রশিদ খান এসে দেন হানা। ইম্পেক্ট নেমে ভানুকা রাজাপাকসেও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি। থিতু হয়ে টানতে পারেননি জিতেশ শর্মা, কারান। মাঝের ওভারে খেলা বদলে দেওয়া বোলিং করেন মোহিত শর্মা। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে ম্যাচ সেরাও তিনি। 

মোহিতের তোপের মাঝে শাহরুখ খানের ৯ বলে ২২ রানের ক্যামিওতে দেড়শো পার হয় পাঞ্জাব। যদিও অন্তত ১০ রানের আক্ষেপ থেকে যায় তাদের।

এই নিয়ে টুর্নামেন্টে ৪ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠল গুজরাট। চার ম্যাচের দুটিতে জেতা পাঞ্জাবের অবস্থান ছয়ে।

Comments