ক্রমবর্ধমান বিবাহ বিচ্ছেদ: দায়ী ‘অস্বাস্থ্যকর দাম্পত্য সম্পর্ক’

সাধারণ মানুষের জীবনে বিয়ে বিচ্ছেদ ও বনিবনা না হওয়াটা রীতিমত কষ্টের এবং নিপীড়নের কাহিনী।

পরীমণি-রাজ, শাকিব খান-বুবলি, শাকিব খান-অপু বা তাহসান-মিথিলাদের যখন বিয়ে বিচ্ছেদ হয় বা বনিবনা না হয়, তখন সেটা নিয়ে খবর হয়। সেসব খবর জায়গা পায় বিনোদনের পাতায়। আবার যখন কিছুদিন পর এমন তারকা দম্পতি মান-অভিমান পর্ব শেষে এক হয়, তখন আবার মিডিয়া ঝাঁপিয়ে পড়ে।

সাধারণ মানুষের জীবনে বিয়ে বিচ্ছেদ ও বনিবনা না হওয়াটা রীতিমত কষ্টের এবং নিপীড়নের কাহিনী।

যেমনটা ঘটেছে পটুয়াখালীর দুমকিতে। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন দিয়ে গৃহবধূ হালিমা আক্তার মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে শাশুড়ি ও স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে অগ্নিদুর্ঘটনায় হালিমা মারা যান। এ ঘটনায় তার ছেলেও গুরুতর দগ্ধ হয়েছে।

একই দিনের আরেকটি খবর রাজধানীর বাড্ডা এলাকার। গৃহবধূ স্নিগ্ধা তার ১০ বছরের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। এটাও পারিবারিক কলহের জের বলে পুলিশ ধারণা করছে। এ ঘটনায় স্নিগ্ধার স্বামীকে দায়ী মনে করা হচ্ছে।

পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ধরণের মারামারি, হত্যা, আত্মহত্যার ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে।

বিয়ে, পরিবার, সন্তানপালন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ, দায়-দায়িত্ব, টাকা পয়সার ভাগ-বাটোয়ারা, বিয়ের পরে অন্য নারী বা পুরুষে আসক্ত হওয়া ইত্যাদি কারণে পরিবারে সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। এসব ঘটনায় বাড়ছে অসুখী দাম্পত্য জীবন। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তিক্ত হয়েছে, হচ্ছে। তবুও তারা চেষ্টা করেন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বা সামাজিক সমালোচনা এড়াতে অসুখী সম্পর্কটিই টিকিয়ে রাখতে।

এভাবে চলতে চলতে একদিন এমন একটা দুঃসহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তখন আর পালিয়ে বাঁচারও উপায় থাকে না। তখনই স্বামী বা স্ত্রী মারধর বা হত্যার মতো ঘটনা ঘটান, কেউ খুনি হন, এমনকি সন্তানকেও জিম্মি হতে হয় ওই তিক্ত সম্পর্কের ফলে।

সময় দ্রুত বদলাচ্ছে। সন্তান ও পরিবারকে অবলম্বন করে একটি 'অস্বাস্থ্যকর দাম্পত্য সম্পর্ক' টিকিয়ে রাখতে চাইছেন না অনেকেই। শুধু লোক দেখানোর জন্য নিজেদের জীবনকে বিপর্যস্ত না করার কথা ভাবছেন তারা। অনেকেই মনে করছেন, বিষাক্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেয়ে আলাদা থাকা ভালো।

মূল কথা হলো, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ও বিশ্বাস হারিয়ে গেলে তা একটি অস্বাস্থ্যকর ও লোক দেখানো সম্পর্কে পরিণত হয়। তখন সন্তান, দায়-দায়িত্ব সব ঠুনকো হয়ে পড়ে। সম্পর্কটা হয়ে পড়ে সাংঘর্ষিক। নানা রকম আলাপ-আলোচনা করেও যখন সমন্বয় করা যায় না, তখন বিয়ে বিচ্ছেদ ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। জোরজবরদস্তি করে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করলে তাতে নারী ও পুরুষ এবং সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হতে পারে।

অনেকেই মনে করেন পাশ্চাত্যের আগ্রাসনে বিয়ে বিচ্ছেদ বেড়েছে। অনেকে বলেন নারী অতিরিক্ত স্বাধীনতাকামী হয়েছে, সমাজে নৈতিকতার পতন ঘটেছে, মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়েছে, নারী-পুরুষ বিয়েবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছে, ধর্মীয় চর্চা কমে গেছে, স্ত্রী স্বামীকে মানতে চাইছেন না ইত্যাদি কারণে বিচ্ছেদ বাড়ছে। এই কারণগুলো ২০/২৫ আগেও ছিল। কিন্তু এখন নারী-পুরুষ দুজনেই, বিশেষ করে নারীরা মনে করেন, টর্চার সেলের মতো সংসারে থাকার চেয়ে বিচ্ছেদ অনেক ভালো।

সচেতন নারী-পুরুষ উভয়েই মনে করেন, সন্তান নেওয়ার আগে বিচ্ছেদ হওয়া আরও ভালো। যদিও বাংলাদেশের ট্র্যাডিশনাল সমাজ মনে করে, বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অমিল তৈরি হলে বা বনিবনা না হলে, চট করে একটি বাচ্চা নেওয়া উচিৎ। তাহলে সম্পর্ক টিকে যাবে। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তখন সন্তান এই নাটকের অংশ হয়ে যায়, তার জীবন হয়ে যায় বিভীষিকাময়। কারণ, শিশু যদি দেখে বাবা-মায়ের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি, ভুল বোঝাবুঝি, মারামারি বা শীতল সম্পর্ক চলছে, তা সন্তানের ওপর অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

এতো পটভূমি দেওয়ার কারণ হলো, দেশে তালাকের হার বাড়ছে। এই হারটা রীতিমতো ভয়াবহ। ঢাকায় প্রতি ৪০ মিনিটে ১টি তালাক হচ্ছে। গত বছর রাজধানীতে তালাক হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ৩৭টি করে। সারাদেশেই বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) 'বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২' শীর্ষক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

তালাকের হার পল্লী অঞ্চলে শহরের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। এই তথ্যটি বেশ উল্লেখযোগ্য। শহরের ধনী ও মধ্যবিত্ত পরিবারের দম্পতিরা বিভিন্ন কারণে যে বিষাক্ত সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন, গ্রামের মানুষ সেটা করছেন না।

হ্যাঁ, এ কথা ঠিক যে অর্থনৈতিক মন্দা, স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে দ্বন্দ্ব, ছেলে-মেয়ে সবার মধ্যে ক্যারিয়ারমুখী হওয়ার প্রবণতা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহার, অবিশ্বাসসহ বিভিন্ন কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বড় কারণ হচ্ছে নারী এখন আর বিষাক্ত সম্পর্ক বহন করতে চাইছেন না। তাই বিচ্ছেদের আবেদন নারীরা বেশি করছেন।

আত্মমর্যাদাসম্পন্ন নারীরা নির্যাতন-পীড়ন থেকে আলাদা থাকাকে ভালো মনে করছেন এবং তারা তালাকে মুক্তি খুঁজছেন। বিচ্ছেদের আবেদনের পর সমঝোতা হয়েছে খুবই কম, ৫ শতাংশের নীচে। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা প্রায় ১৫ বছর ধরে বিবাহবিচ্ছেদ বাড়ছে। তালাক বেশি বাড়ছে শিক্ষিত দম্পতিদের মধ্যে।

যদি খানিকটা পেছনের দিকে দৃষ্টি ফেরাই, দেখবো গ্রামে বা শহরে তালাক না বৃদ্ধির কোনো কারণ নেই। আগে মেয়েরা অনেক নিপীড়ন-নির্যাতন মুখ বন্ধ করে মেনে নিতেন। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাওয়ার পর নারী এখন আর এই অত্যাচার মেনে নিতে চাইছেন না।

অপ্রিয় হলেও এ কথা সত্য, স্ত্রীকে মারার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুরুষরা একদম ওপরের সারিতে অবস্থান করছেন। বিশ্বের যেসব দেশে স্বামী বা সঙ্গীর হাতে নারী নির্যাতনের হার বেশি, সেসব দেশের তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। দেশের ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৫০ শতাংশই জীবনে কখনো না কখনো সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রকাশিত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

এখানে অধিকাংশ পরিবারেই ঘরের বউকে মনে করা হয় 'নিজের সম্পত্তি'। দেশের শহর ও গ্রামের শতকরা ৬৩ ভাগ পুরুষ এখনো মনে করেন, 'সহবাসে রাজি না হলে বউকে মারাটা জায়েজ'। অন্যদিকে শতকরা ৬২ জন পুরুষ বিশ্বাস করেন, 'এমনও সময় আসে, যখন বউয়ের নিজের কাজের জন্যই তার মার খাওয়াটা উচিৎ হয়ে যায়'।

ব্র্যাক জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের এক জরিপে এসব ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে।

কেন পুরুষ স্ত্রীকে মারধর করে? আমরা দেখেছি এর কোনো উত্তর নেই। ভাত দিতে দেরি হলে, হাতের কাছে জিনিষ খুঁজে না পেলে, পরপর দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিলে, সারাদিন রান্নার পর শরীরে তেল-মশলার গন্ধ পেলে, খেটে খাওয়া নারী সময় মতো মজুরি না পেলে, প্রভু স্বামী ঘুমানোর সময় বাচ্চা কাঁদলে, স্বামীর চাহিদা মতো সহবাসে রাজি না হলে, স্বামীর অন্যত্র প্রেম থাকলে, ঘর-দুয়ার ময়লা থাকলে, কর্মক্ষেত্র থেকে ফিরতে দেরি হলে, নিজের অর্জিত টাকা স্বামীর হতে পুরোটা তুলে না দিলে, এমনকি পর্ণোগ্রাফির নায়িকাদের মতো বিছানায় পারফর্ম করতে না পারলে এবং এমন আরও অনেক তুচ্ছ কারণে স্ত্রীকে মার খেতে হয়।

তবে সবচেয়ে ভয়াবহ কারণটা হলো, যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটানো এবং হত্যা করা। সাধারণত এই মারধরের সঙ্গে পরিবারের সবাই জড়িত থাকে। এরপরেও অনেক নারীই চান না সংসার ভেঙে বেরিয়ে আসতে। স্বামীর কাছে মারধরের শিকার হয়ে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের ২ জন শিক্ষিত নারী স্বামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চেয়েছিলেন। নানা ধরণের আইনি পরামর্শ নেওয়ার পরও তারা কোনোটাই করেননি। বরং একজন বাচ্চা নিয়েছেন, অন্যজন এখনো স্বামীর হাতে চড়-থাপ্পড় খেয়ে চলেছেন।

যারা বউ পেটায়, তাদের কি আলাদা কোনো চেহারা আছে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, না বউকে মারার জন্য ভিন্ন কোনো চেহারা লাগে না। যেকোনো সমাজের, যেকোনো অর্থনৈতিক অবস্থার পুরুষ এটা করে থাকে—শ্রমিক, কৃষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, আমলা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার বা শিক্ষক।

আমরা ভাবি, স্বামী এতটা অত্যাচারী হওয়ার পরেও কেন নারীরা তাকে ছেড়ে যান না? অনেকের সামনে আর কোনো উপায় থাকে না। যেসব স্বামী মারধর করে, সেই স্বামী সাধারণত স্ত্রীকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে।

এই সমাজ নারীর আত্মবিশ্বাস একদম নষ্ট করে দেয়। নারীকে ভাবতে শেখায়, স্বামী ছাড়া সমাজে তার কোনো মূল্য নেই। তাকে নানা ধরণের ঝামেলায় পড়তে হতে পারে। নারী তখন আর আলাদা হওয়ার কথা ভাবতে পারে না।

ঢাকার ২ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া নারীদের প্রতি সমাজের আচরণ ছিল অতি বিরূপ। নিজের পরিবারও মেয়েকে আশ্রয় দিতে চাইত না। এখন সচেতনতা বেড়েছে।

ইদানীং তরুণ-তরুণীরা বিয়েকেন্দ্রিক সাংসারিক চাপ ও দায়িত্ব বহনে অনাগ্রহী হয়ে উঠছে। পাশাপাশি মানিয়ে চলা ও পরস্পরকে বোঝার ক্ষেত্রে ধৈর্য্যও কমে গেছে। প্রশ্ন উঠেছে, কেন ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিয়ের প্রতি আগ্রহ কমছে এবং বিয়ের কয়েক বছরের মধ্যেই কেন তালাক হয়ে যাচ্ছে? বিয়ে পরবর্তী দায়িত্ববোধ, নিয়ম-কানুন, কিছু সমঝোতা ও শেয়ারিং বিষয়টাকে আজকালকার অনেক ছেলেমেয়েই ঝামেলা বলে মনে করে। তারা এতটাই ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী হয়ে উঠেছে যে বিবাহিত জীবনে 'ছাড় দেওয়ার ব্যাপারটিও অপছন্দ করতে শুরু করেছে।

বাংলাদেশের মতো সমাজে বিয়ে মানে শুধু স্বামী-স্ত্রী নয়, বিয়ে মানে একটি পরিবার, একটি বন্ধন। সেই পরিবারে আরও অনেকে থাকতে পারেন। সেই অনেকের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হয়, নানাজনের নানা মত বুঝে চলতে হয়। অথচ বিয়ের পর প্রায় সব ছেলেমেয়েই চায় নিজেদের মতো থাকতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের মতো সমাজ ব্যবস্থায় তা হয়ে ওঠে না। তখনই তৈরি হতে থাকে ভুল বুঝাবুঝি এবং ক্রমশ ফারাক বাড়তে থাকে।

এই প্রজন্ম কোনো কিছু গোপন করতে বা মানিয়ে চলতে পছন্দ করে না। তারা মনে করে, নিয়মিত চাপ, অবিশ্বাস ও ট্রমার ভেতর দিয়ে যাওয়ার চেয়ে আলাদা হয়ে যাওয়া ভালো। তরুণ-তরুণীদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, পরিবার আর সমাজের দিকে তাকিয়ে একটা 'মৃত সম্পর্কের গোঁড়ায় পানি ঢালাটা' ভুল। কারো যদি অর্থনৈতিক সচ্ছলতা থাকে, তাহলে টক্সিক সম্পর্ক থেকে বের হয়ে আসা উচিৎ। যদি নাও থাকে, তবু ওই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়া ভালো। এতে অনেক ভালো থাকা যায়।

কোনো পক্ষই এখন আর মুখ বুজে সহ্য করতে চান না। কেন এই পরিবর্তন? জাতীয় মহিলা পরিষদ নারীদের তালাকের ক্ষেত্রে প্রধানত ৪টি কারণকে চিহ্নিত করেছে। এগুলো হলো—যৌতুক, শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন এবং স্বামীর পরনারীতে আসক্তি।

পুরুষ প্রধানত স্ত্রীর 'চরিত্র দোষকে' দায়ী করতে চান তালাকের কারণ হিসেবে। আসলে দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রেমহীনতাকে আইন ও চুক্তির শিকলে বেঁধে প্রেমে পরিণত করাটা একেবারে অসম্ভব।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবর্তিত সামাজিক অবস্থার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পরিবার ও সম্পর্কে ভাঙন বাড়ছে। আইন, পাপ-পুণ্য ও নীতিকথা দিয়ে এটা ঠেকানো কঠিন। তাই শিক্ষা, চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার পাশাপাশি শিশু ও পরিবারকল্যাণ কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ বিনিয়োগ শুরু করা উচিৎ। যাতে ভেঙে যাওয়া পরিবারের শিশুরা আশ্রয়চ্যুত না হয়। কারণ, যে কারণেই সংসার ভাঙুক না কেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সেই পরিবারের সন্তান।

শাহানা হুদা রঞ্জনা, যোগাযোগকর্মী

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নিবে না।)

Comments