রিয়েল এস্টেট কেলেঙ্কারির তদন্তে দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবুকে ইডির তলব

মহেশ বাবু । ছবি: সংগৃহীত

রিয়েল এস্টেট কেলেঙ্কারিতে অর্থ আত্মসাতের মামলার তদন্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেলেগু সুপারস্টার মহেশ বাবুকে তলব করেছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্টের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী মহেশ বাবুকে আগামী ২৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে জবানবন্দি দিতে বলা হয়েছে। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে (পিএমএলএ) তার বয়ান রেকর্ড করতে বলা হয়েছে।

এই মামলাটি ভেঙ্গাল রাও নগরের বিশিষ্ট রিয়েল এস্টেট ফার্ম সাই সূর্য ডেভেলপার্স, সুরানা গ্রুপ ও আরও কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কিত। গত ১৬ এপ্রিল সেকেন্দ্রাবাদ, জুবিলি হিলস ও বোয়েনপল্লিতে ওই মামলায় তল্লাশি চালায় ইডি।

তারা বলছে, মহেশ বাবুর বিরুদ্ধে বর্তমানে আসামি হিসেবে তদন্ত হচ্ছে না এবং তিনি এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত নাও থাকতে পারেন। তিনি হয়তো অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর রিয়েলটি প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, কারণ তিনি এই জালিয়াতির কথা জানতেন না।

পিটিআই জানিয়েছে, চেক ও নগদের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে এনডোর্সমেন্ট ফি বাবদ অভিনেতার কাছ থেকে পাওয়া পাঁচ কোটি নয় লাখ রুপির লেনদেন খতিয়ে দেখছে ইডি।

সাই সূর্য ডেভেলপার্সের স্বত্বাধিকারী সতীশচন্দ্র গুপ্তা, ভাগ্যনগর প্রোপার্টিজ লিমিটেডের ডিরেক্টর নরেন্দ্র সুরানা এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ প্লট বিক্রির নামে গ্রাহকের কষ্টার্জিত অর্থ নিয়ে 'প্রতারণার' অভিযোগ তোলে তেলেঙ্গানা পুলিশ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করেছে ইডি।

তল্লাশির পর এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, অভিযুক্তরা অননুমোদিত জমি বিন্যাস, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে একই প্লট বিক্রি, যথাযথ চুক্তি ছাড়াই অর্থ গ্রহণ এবং প্লট রেজিস্ট্রেশনের মিথ্যা আশ্বাসসহ 'প্রতারণামূলক' পরিকল্পনা করেছিল।

এতে বলা হয়, অভিযুক্তদের কর্মকাণ্ডে অসংখ্য বিনিয়োগকারীর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

ইডি বলেছে, পূর্বনির্ধারিত ও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে তারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে।

এতে বলা হয়, অভিযানের সময় বিনিয়োগকারীদের দেওয়া অর্থ এবং প্রায় ১০০ কোটি রুপির 'হিসাব বহির্ভূত' নগদ লেনদেন সম্পর্কিত 'অপরাধমূলক' নথি উদ্ধার করা হয়েছে। নরেন্দ্র সুরানা ও সুরানা গ্রুপ অব কোম্পানিজের বাড়ি থেকে ৭৪ লাখ ৫০ হাজার রুপি হিসাব বহির্ভূত অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Public Service Act: Ordinance out amid Secretariat protests

The government last night issued an ordinance allowing dismissal of public servants for administrative disruptions within 14 days and without departmental proceedings.

7h ago