চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেঘনা আলমকে

মডেল মেঘনা আলম। ছবি: মেঘনা আলমের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

ঢাকার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মেঘনা আলমকে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া এই আদেশ দেন।

এর আগে গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার হোসেন মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।​

আবেদনে বলা হয়, মেঘনা আলম ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেওয়ান সামির এবং আরও দুই-তিনজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনা করেন।​

মেঘনা আলম আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে মামলায় জড়ানো হয়েছে এবং তিনি দেওয়ান সামিরকে চেনেন না।​

একই মামলায় দেওয়ান সামিরকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।​

১৫ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল আলিম মেঘনা আলম, দেওয়ান সামির ও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।​

মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য, যারা সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে বিদেশি কূটনীতিক ও ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় করতেন।​

দেওয়ান সামির কাওয়াই গ্রুপের সিইও এবং সঞ্জনা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক।​

অভিযোগ, ২৯ মার্চ ধানমন্ডির একটি জাপানি রেস্টুরেন্টে এক কূটনীতিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের পরিকল্পনায় বৈঠক করেন তারা।​

৯ এপ্রিল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার নিজ বাসা থেকে মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।​

১০ এপ্রিল আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।​

১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চান, বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না।​

মেঘনা আলমের গ্রেপ্তার ও আটক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।​

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি এই গ্রেপ্তারকে 'ফ্যাসিবাদী ও কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপ' বলে আখ্যা দিয়েছে এবং মেঘনা আলমকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

5h ago