মেঘনা আলমের সঙ্গে বেআইনি কিছু করা হয়নি: প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মডেল ও অভিনেত্রী মেঘনা আলমের সঙ্গে বেআইনি কিছু করা হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গত ৯ এপ্রিল রাতে সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের একটি অনানুষ্ঠানিক অভিযোগের ভিত্তিতে মডেল মেঘনাকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন আদালত।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, 'আপনাদের কথা শুনে মনে সরকার একটা বেআইনি কাজ করে ফেলেছে। এই আইন (বিশেষ ক্ষমতা আইন) ব্যবহার হচ্ছে না, তা তো না।'

'এই একটা ক্ষেত্রেই আইনটা ব্যবহার হয়েছে, এমনও না। এটা বেআইনি কাজ না। এখন যদি বলেন যে, নির্দিষ্ট এই ক্ষেত্রে কেন হয়েছে, এটা একটা ঘটনা,' বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদার প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী আরও বলেন, 'একটা অভিযোগ আসছে, সেটা নিয়ে কাজ হচ্ছে। এটা হাইকোর্টে গেছে। মানে এটা বিচারাধীন ইস্যু, সাবজুডিস ম্যাটার। এটা নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা দেখি কী আসে ওখান (হাইকোর্ট) থেকে। তবে একটা জিনিস নিশ্চিত যে, প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এখানে কারও প্রতি বেআইনি কোনো আচরণ করা হয়নি।'

'হাইকোর্টে এটা নিয়ে বিচার হচ্ছে, সেটাও আমরা জবাব দেবো। অগ্রিম এই তথ্যগুলো নিয়ে আলোচনা করা ঠিক না,' যোগ করেন তিনি।

গত রোববার বিষয়টি নিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছিলেন যে, মেঘনা আলমকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে খোদা বখস চৌধুরী বলেন, 'যিনি এই মন্তব্যটা করেছেন এই প্রশ্নটা তাকে করবেন। আইন উপদেষ্টা কী প্রেক্ষিতে বলেছে আমরা জানিনা। এটা তাকে জিজ্ঞাসা করতে হবে। তিনি আমাদেরকেও এ বিষয়ে বলেননি যে, তিনি এই কারণে বলেছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago