অনুমোদন পেল ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’

ছবি: সংগৃহীত

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে 'গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি'।

'গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি'র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল ইসলামকে গতকাল সোমবার অনুমতি সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-১ শাখা।

চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ঢাকার তুরাগ থানাধীন দক্ষিণ দিয়াবাড়ী মেইন রোডের বাড়ি নম্বর ৬।

উপসচিব রোখছানা বেগমের সই করা চিঠিতে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৬ অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে প্রস্তাবিত 'গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি' ঢাকা স্থাপন ও পরিচালনার সাময়িক অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

শর্তের মধ্যে আছে, সাময়িক অনুমতির মেয়াদ ৭ বছর এবং পাঠদানের জন্য প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, লাইব্রেরি, ল্যাবরেটরি, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের কমনরুম এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান ও অবকাঠামো থাকতে হবে।

এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যূন ২৫ হাজার বর্গফুট আয়তন নিজস্ব বা ভাড়া করা ভবন থাকতে হবে এবং ন্যূনতম ৩টি অনুষদ ও প্রতিটি অনুষদের অধীনে অন্তত ৬টি বিভাগ থাকতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কিত একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদন দেবে।

অন্যান্য শর্তের মধ্যে আছে, প্রত্যেক বিভাগ, প্রোগ্রাম ও কোর্সের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নির্ধারিত সংখ্যক পূর্ণকালীন যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে এবং প্রতিটি বিষয় ও কোর্স প্রণয়ন করে প্রত্যেক বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।

প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে সংরক্ষিত তহবিল হিসেবে অন্তত এক কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা থাকতে হবে এবং সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া এর লভ্যাংশ উত্তোলন করা যাবে না।

সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্বানুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা যাবে না এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিধান, সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বিদ্যমান আদেশ-নির্দেশ, নীতিমালা ইত্যাদি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

7h ago