বাংলাদেশে ঢুকে ৫ কৃষককে মারধর: বিএসএফের দুঃখ প্রকাশ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে পাঁচ বাংলাদেশি কৃষককে মারধরের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। একইসঙ্গে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে তারা।

আজ শনিবার দুপুরে উভয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে বিজিবির প্রতিবাদের মুখে এসব আশ্বাস দেয় বিএসএফ।

লালমনিরহাট বিজিবি ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজিবি জানায়, আজ দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের গোরকমন্ডল নামাটারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯২৯ এর সাব পিলার ৪-এর কাছে বাংলাদেশি নাগরিক আব্দুল্লাহ নামে এক বাসিন্দার উঠানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে পতাকা বেঠক শুরু হয়ে শেষ হয় ২টা ৩৫ মিনিটে।

পতাকা বৈঠকে ১৫ জন বিজিবি সদস্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল আলম এবং ১০ জন বিএসএফর পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অমিত কুমার। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে নাগরিকদের মারধরের ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানায় বিজিবি।

বৈঠকের বরাতে বিজিবি জানায়, বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। সার্বিক ঘটনার জন্য বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছেন, ওই বিএসএফ সদস্যরা কাশ্মির ফ্রন্ট থেকে এই অঞ্চলে নতুন এসেছেন। বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার বিষয়টি তারা বুঝতে পারেননি, খেয়াল করেননি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেবে বিএসএফ। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেই আশ্বাসও দিয়েছে বিএসএফ প্রতিনিধিদলের প্রধান।

শুক্রবার দুপুরে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙা ইউনিয়নের পশ্চিম বালাতারী সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৯৩০ এর আট নম্বর সাব-পিলারের কাছ দিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে বিএসএফের পাঁচ সদস্য। সেই সময় তারা পাঁচজন বাংলাদেশি কৃষককে মারধর করেন। পরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে তারা ফিরে যান। এ নিয়ে ওই সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করেন।

লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শাকিল আলম সাংবাদিকদের জানান, বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বর্তমানে সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কৃষকরা নির্ভয়ে সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ডে থাকা ফসলি জমিতে কাজ করতে পারবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago