ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে সরাতে জর্ডানের রাজার সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক

হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০১৮ সালের বৈঠক। ছবি: রয়টার্স

গাজার ফিলিস্তিনিদের জর্ডান ও মিশরে পাঠিয়ে উপত্যকাটিকে 'মধ্যপ্রাচ্যের রিভিয়েরা' হিসেবে গড়ে তোলার বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

এই ইস্যুতে জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে একটি 'চুক্তি' করতে আজ বৈঠকে বসবেন তিনি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, গাজার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় দিতে রাজি না হলে মিত্র রাষ্ট্র জর্ডানে সব ধরনের সহায়তা পাঠানো বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।

ট্রাম্প গাজা দখলের পরিকল্পনা গত মঙ্গলবারই (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবৃতি দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছেন দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে তার আজকের বৈঠকে 'উত্তেজনা' বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।  

সিএনএন জানায়, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ও ইসরায়েলের সুরক্ষায় ভূমিকা পালন করা জর্ডান ও মিশরে প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাঠায় ওয়াশিংটন।

সোমবার ওভাল অফিসে এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, 'যদি তারা (ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ) না করে, তাহলে আমি সহায়তা তহবিল আটকে দেব।'

কায়রো ও আম্মান উভয়ই ওয়াশিংটন ও তেল আবিবের নিরাপত্তা নীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। গত বছরও ইসরায়েলের দিকে ইরানের ছোঁড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে জর্ডান।

ইতোমধ্যে হাজারো ফিলিস্তিনি শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া মিসর ও জর্ডানে নতুন করে আরও প্রায় ২০ লাখ শরণার্থী গ্রহণে বাধ্য করলে এই দুই দেশের অবস্থা অস্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে এবং তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কিছু মার্কিন কর্মকর্তা।

মিশর ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য সিনাই অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ার বিষয়ে উদ্বিগ্ন। আল-সিসি প্রশাসন রোববার ঘোষণা দিয়েছে, তারা ২৮ ফেব্রুয়ারি কায়রোতে জরুরি আরব লিগ সম্মেলন আহ্বান করছে। সেখানে 'ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন ও বিপজ্জনক পরিস্থিতি' নিয়ে আলোচনা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago