বিপিএল

মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমের ঝড়ে ম্লান ইয়াসিরের ৯৪

Mahmudullah & Faheem Ashraf
ম্যাচ জেতানোর পর মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম আশরাফ। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে চার-ছক্কায় ঝড় তুলেছিলেন ইয়াসির আলি রাব্বি। তার নব্বুই ছাড়ানো ইনিংসে দুইশোর কাছে পুঁজি গড়েছিল ফরচুন বরিশাল। ওই পুঁজি নিয়ে তাসকিন আহমেদ, জিসান আলমরা শুরুতেই ব্যাকফুটে ঠেলে দেন বরিশালকে। পরে চরম বিপাকে থাকা অবস্থায় জ্বলে উঠেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ফাহিম আশরাফ।  ১১ বল আগেই  ম্যাচ জিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বরিশাল।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। আগে ব্যাট করে ইয়াসিরের ৪৭ বলে ৯৪ রানে ভর করে ১৯৭ রান করেছিল রাজশাহী। ১৮.১ ওভারে ওই রান পেরিয়ে জিতে বরিশাল।  ২৬ বলে ৫ চার, ৪ ছক্কায় ৫৬ করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদউল্লাহ। ২১ বলে ৭ ছক্কায় ৫৪ করেন ফাহিম।

১৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় বরিশাল। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জিসান আলমের প্রথম বলেই হন এলবিডব্লিউ। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ফেরেন পরের ওভারে। তাসকিন আহমেদকে আপার কাটে এক ছক্কা মারার পর ফুললেন্থের বলে হন এলবিডব্লিউ।

ক্যারিবিয়ান কাইল মেয়ার্স চারে নেমে থিতু হতে পারেননি। তাসকিনের বলে ক্যাচ তুলে হাঁটা ধরেন তিনিও। অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমেরও একই দশা। হাসান মুরাদকে টার্গেট করতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে বিদায় নেন ১৩ রান করে। নবম ওভারে মুরাদ থিতু হওয়া হৃদয়কে (২৩ বলে ৩২) তুলে নিলে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে বরিশাল।

পরে মাহমুদউল্লাহ-শাহিন আফ্রিদি মিলে ২৫ বলে যোগ করেন ৫১ রান। ১৭ বলের উপস্থিতিতে ৩ ছক্কায় ২৭ করে তাসকিনের বলেই কাটা পড়েন শাহিন। মাহমুদউল্লাহ চালিয়ে যান লড়াই, তার সঙ্গে যোগ দিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে ফাহিম আশরাফের ব্যাট। একের পর এক ছক্কায় ম্যাচ অতি সহজ করে দেন তারা। তাসকিন ছাড়া আর ভালো মানের কোন পেসার না থাকাতেও স্লগ ওভারের হিসাব মিলিয়ে উঠতে পারেনি রাজশাহী।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীর শুরুটা হয় বাজে। ২৫ রানের মধ্যেই বিদায় নেন দুই ওপেনার জিসান আলম ও মোহাম্মদ হারিস। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘোরানো জুটি গড়েন বিজয়-ইয়াসির তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে যোগ করেন ১৪০ রান। বিজয় শুরুতে ৩৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করলেও তাকে দ্রুত ছাপিয়ে যান ইয়াসির। চার-ছক্কায় ঝড় তুলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।

রিপন মন্ডল, তানভির ইসলামদের তুলোধুনো করতে থাকেন তিনি। তানভিরের বল পেছনের পায়ে দাঁড়িয়ে পাঞ্চ করে কাভারের উপর দিয়ে মারেন দেখার মতন ছক্কা, রিপনকে লং অন দিয়ে উড়ান একাধিকবার। উত্তাল ইনিংসে সেঞ্চুরির আশাও জাগিয়েছিলেন। শেষ ওভারের শেষ দুই বল স্ট্রাইকে থাকতে পারলে হয়ত হয়েও যেত। তবে সেঞ্চুরি না পেলেও দলকে জেতার মতন রান এনে দিয়েছিলেন তিনি, বোলাররা পারেননি নিজেদের কাজটা করতে।

Comments

The Daily Star  | English

Democracy ends where leadership begins

The Daily Star analysis of 25 political parties

12h ago