‘লম্বা আলোচনার পর’ বাদ দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে

যেভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে
ছবি: স্টার

এশিয়া কাপ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে অনুশীলন করছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার আলোচনার খোরাক যোগালেও নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের মন গলাতে পারেননি। টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে লম্বা আলোচনার পর তাকে এশিয়া কাপের দলে আর বিবেচনা করা হয়নি।

শনিবার সকালে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘোষণা করা হয় ১৭ জনের বাংলাদেশ দল। আভাস অনুযায়ী সেখানে ঠাঁই হয়নি ৩৭ পেরুনো মাহমুদউল্লাহর।

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খারাপ করার পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্রামের আদলে বাদ পড়েন তিনি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজের পর ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও সুযোগ পাননি।

তার সম্ভাবনা অনেকটা ক্ষীণ হওয়ার পর ফের এশিয়া কাপের ফিটনেস ক্যাম্পে আনা হয় তাকে, তৈরি হয় নানামুখী আলোচনা।

দল ঘোষণার পর অনুমিতভাবেই অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে নিয়ে উঠে প্রশ্ন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানান, লম্বা আলোচনার পর তাকে বাদ দিয়েছেন তারা,  'মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে প্রথম দিকে। তারপর অনেক আলোচনা করার পর টিম ম্যানেজম্যান্ট আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কীভাবে কোন দেশের সঙ্গে খেলবে, কী পরিকল্পনা। ওই চিন্তা ভাবনা করেই কিন্তু রিয়াদকে বাদ দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজম্যান্টের পরিকল্পনাকে আমরা মনে করেছি অবশ্যই এটা ভালো।'

ব্যাটিংয়ে রিফ্লেক্স কমে যাওয়া, ফিল্ডিংয়ে নড়বড়ে মাহমুদউল্লাহর ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব ছিল কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। প্রধান নির্বাচকের কথাতেও মিলল সেই ইঙ্গিত, 'যেহেতু হেড কোচের একটা পরিকল্পনা আছে টিম কীভাবে পরিচালনা করা হবে। সব আলোচনা হয়েছে, আমাদের অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

মাহমুদউল্লাহ বাদ পড়ার পর তার জায়গায় ছয়ে খেলে বেশ সফল মুশফিকুর রহিম। এই অভিজ্ঞ তারকা এক সময় সাতে খেললেও ওয়ানডেতে সবশেষ পাঁচ বছর সাতে খেলেছেন মাত্র তিনবার।

সাতের বিবেচনায় তাই স্বাভাবিকভাবে রাখা হয়নি মাহমুদউল্লাহকে। এই জায়গায় আপাতত দলের পছন্দ মেহেদী হাসান মিরাজ, 'এই ম্যানেজম্যান্টের আন্ডারে মিরাজকেই সাতে কন্ডিসডার করা হচ্ছিল কয়েকটা সিরিজে। মিরাজের ওপর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। আট নম্বরে অতিরিক্ত পেসার বা স্পিনার যখন যেটা যে কন্ডিশনে দরকার হবে, ওভাবেই কিন্তু আগায়। টিম ম্যানেজম্যান্টের অনেক পরিকল্পনা আছে, যেগুলো এখানে শেয়ার করতে পারি না।'

Comments

The Daily Star  | English
Overall situation of foreign direct investment

Net foreign direct investment hits six-year low

The flow of foreign direct investment (FDI) in Bangladesh fell to $104.33 million in the July-September quarter of fiscal year 2024-25, the lowest in at least six years, as foreign investors stayed away from Bangladesh amid deadly political unrest, labour agitation, and a persistent economic crisis.

13h ago