চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতাসহ নিহত ২, আহত ৪

ছাত্রদলের কর্মীসভায় ককটেল বিস্ফোরণ
নাচোলে ছাত্রদলের কর্মীসভায় ককটেল বিস্ফোরণ, ২ পুলিশ আহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাসহ দুই জন নিহত ও চার জন আহত হয়েছেন।

পুলিশ জানায়, জেলার নাচোল উপজেলার মল্লিকপুর বাজার এলাকায় মঙ্গলবার রাত রাত পৌনে ১১টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে নিহতরা হলেন—নাচোল উপজেলার খোলাসী গ্রামের এজাবুল হকের ছেলে মাসুদ রানা (২০) ও একই ইউনিয়নের চানপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে রায়হান (১৪)।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন—নাচোল উপজেলার মো. সুমন (১৮), মো. রজব আলী রনি (১৪), মো. আরমান (১৬) ও মো. ইমন (১৫)।

আহতদের মধ্যে দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছে এবং বাকি দুজন চাঁপাইনবাবগঞ্জে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত মাসুদ রানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।

এ বিষয়ে নাচোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মাসুদ রানা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তবে কোনো রাজনৈতিক কারণে তাকে হত্যা করা হয়নি। পূর্ব শত্রুতার জেরে এলাকায় যুবকদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে তিনি নিহত হয়েছেন। অনেকে এর মধ্যে রাজনৈতিক যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু, সেটা সঠিক নয়।'

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবুল কালাম সাহিদ জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—মল্লিকপুর গ্রামের মো. আজিজুল হক (৫২) ও মো. তাসিম (৩২)।

ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে দ্য ডেইলি স্টারকে এএসপি আবুল কালাম সাহিদ বলেন, 'প্রায় ১৫ দিন আগে নাচোলের খোলসী গ্রামে আব্দুল খালেকের পেয়ারা বাগানে কাজ করার সময় লেবার সর্দার সালামের একটি ভিডিও গোপনে ধারণ করে শ্রমিক শাহীন। এই নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তার জেরে গত রাতে অনুষ্ঠান শেষে শাহীনের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সালামের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে ছয় জনকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর আগেই দুজন মারা যান।'

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় সাত-আট জন জড়িত। তাদের মধ্যে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।'

রাজনৈতিক কারণে তাদের হত্যা করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই এএসপি বলেন, 'এখানে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে যে আলোচনা চলছে তেমন কোনো আলামত আমরা এখনো পাইনি। "জয় বাংলা" লেখার কারণে বা এই স্লোগান দেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে যে আলোচনা আছে, সেটা সঠিক না।'

একই ধরনের মন্তব্য করেন নিহত মাসুদ রানার চাচাতো ভাই সুজন আলীও।

টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক কোনো কারণে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়নি। মাসুদ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে পড়ালেখা করতো। স্থানীয় একটি ক্যাডার বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।'

তবে মাসুদ রানার ফেসবুক আইডি থেকে দেখা যায়, ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর তাকে নাচোল উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকায় সহসম্পাদক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ।

Comments

The Daily Star  | English

Sinner dethrones Alcaraz to capture maiden Wimbledon crown

Jannik Sinner downed Carlos Alcaraz 4-6, 6-4, 6-4, 6-4 on Sunday to win his first Wimbledon title, gaining sweet revenge for his painful defeat in the French Open final.

3h ago