চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় আ. লীগ নেতাসহ নিহত ২

তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং শিক্ষক মতিন আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা ও এক স্কুল শিক্ষক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রানীহাটি কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-নয়লাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম এবং হরিনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিন আলী।

তাদের মধ্যে আবদুস সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এবং মতিন আলী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

তাদের বাঁচাতে গিয়ে মতিনের বড় ভাই টিটু আলী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার সাইদুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রাতে কলেজের সামনে আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে আবদুস সালামসহ তিনজন বসে ছিলেন। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই সালামের মৃত্যু হয়।

দুর্বৃত্তরা বন্দুক, বোমা ও ছুরি নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।

এসপি বলেন, 'আমরা সন্দেহ করছি যে সালামকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।'

স্থানীয়রা মতিন ও টিটুকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৯টার দিকে চিকিৎসক মতিনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে হাসপাতাল সুপার ডা. মাসুদ পারভেজ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিহতের মাথায় ও পায়ে গুলি লেগেছে।

জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নয়লাভাঙ্গা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আবদুস সালাম একপক্ষের নেতৃত্ব দিতেন। এ বিরোধের জেরে তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।'

রাণীহাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ আলীর লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক প্রত্যক্ষদর্শী।

জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের এসপি বলেন, 'আশরাফের গ্রুপ সম্পর্কে জেনেছি। সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments