হাইকোর্টে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন

বেক্সিমকোর বকেয়া ঋণ ও দায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি

বেক্সিমকোর কারখানা বন্ধ

অন্তত ১৬টি ব্যাংক ও ৭টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কাছে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোর বকেয়া ঋণ ও দায় ৫০ হাজার ৯৮ কোটি টাকার বেশি। 

আজ রোববার হাইকোর্টে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।

এসব ঋণের মধ্যে ৩১ হাজার কোটি টাকা চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত শ্রেণিকৃত করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনিরুজ্জামানের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।

বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার জন্য একজন রিসিভার নিয়োগের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আদেশ চেয়ে রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। 

বিষয়টি নিয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন বেঞ্চ।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আইনজীবী মুনিরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বেক্সিমকোর কোম্পানিগুলোর মোট ঋণের প্রায় ৫০ শতাংশ প্রাসঙ্গিক আইন, নিয়ম, রীতিনীতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে জনতা ব্যাংক দিয়েছে।'

আইনজীবী জানান, বেক্সিমকো গ্রুপের মোট ১৮৮টি কোম্পানির মধ্যে ৭৮টি কোম্পানি জনতা ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংকসহ ১৬টি ব্যাংক এবং অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ফাইন্যান্স এবং আইপিডিসি ফাইন্যান্সসহ ৭৮টি আর্থিক কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুদ আর সোবহানের দায়ের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ৫ সেপ্টেম্বর আরেকটি হাইকোর্ট বেঞ্চ বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানি পরিচালনার জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ এবং কোম্পানির সব সম্পত্তি ছয় মাসের জন্য জব্দ করার নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত অর্থ উদ্ধার করে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেয় এবং এ সংক্রান্ত একটি রুল জারি করে।

হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত ১০ নভেম্বর নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে বেক্সিমকো গ্রুপের রিসিভার হিসেবে নিযুক্ত করে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago